শিক্ষার প্রসারে অগ্রগতি ঘটেছে ভবানীপুর কল্যাণী শিশু বিদ্যামন্দির
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুরে একসময় এসেছিলেন বৈজ্ঞানিক ডঃ সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তার হাত ধরেই হোমিওপ্যাথি এলোপ্যাথি চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছ…
শিক্ষার প্রসারে অগ্রগতি ঘটেছে ভবানীপুর কল্যাণী শিশু বিদ্যামন্দির
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুরে একসময় এসেছিলেন বৈজ্ঞানিক ডঃ সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তার হাত ধরেই হোমিওপ্যাথি এলোপ্যাথি চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছিল । প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জ্ঞান মন্দির। হলদিয়াতেই থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত পদার্থ বিজ্ঞানে তিনি এসেছিলেন।
১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ব্রিটিশ শাসন বিলুপ্তি ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন রাজ্যের প্রথম প্রধানমন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী ড: প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে। শিক্ষা বিস্তারের জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূন কান্তি মুখার্জী তৈরি করেছিলেন ১৯৯৪ কল্যানী শিশু বিদ্যামন্দির
এলাকার স্কুলের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের একত্রিত করে শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছিলেন । সেই হলদিয়া তিলে তিলে তিলে তোমায় পরিণত হয়েছে। একদিকে শিল্প অন্যদিকে শিক্ষা সংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তৈরি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত হলদিয়া।
শিক্ষা সংস্কৃতির শহর হলদিয়া, হলদিয়ার প্রবেশদ্বার ভবানীপুর থানার নিকটস্থ কল্যাণী শিশু বিদ্যামন্দির। বিদ্যালয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদিত দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন করা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রসার ঘটেছে, দুর্গাচক, চৈতন্যপুর ,সুতাহাটা, টাউনশিপ পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের আনার জন্য রয়েছে বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা।
শিশু শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিশুদের যত্ন সহকারে পঠন পাঠন করানো হয়। শিক্ষক ও শিক্ষক কর্মচারী হিসেবে এখন রয়েছে প্রায় ৩০ জন। ত্রিতল বিশিষ্ট শিক্ষা নিকেতন ক্লাসরুমের পাশে রয়েছে অত্যাধুনিক পানীয় জলের ব্যবস্থা । স্কুলের বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানের সাথে সাথে শিশুমনের বিকাশ ঘটানোর জন্য শিশু দিবস, স্বাধীনতা দিবস ,প্রজাতন্ত্র দিবস, স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মঞ্চে অনুষ্ঠান করার সুযোগ করে দেওয়া প্রায় সাত দিন ধরে চলে বাৎসরিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
স্কুলের গান এবং নৃত্য শেখানোর সাথে সাথে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যত্ন সহকারে ।জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসুন কান্তি মুখার্জী।
No comments