Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাস কি? রাসের মহাত্ত্ব কি

শুভ রাস পূর্ণিমার প্রিতী ও শুভেচ্ছা রইলো সকলের জন্য। আসছে ২৭শে নভেম্বর সোমবার ২০২৩ইং, শ্রী শ্রী কৃষ্ণের রাস লীলা।।রাস পূর্ণিমার তারিখ ও সময়ঃ-----এই বছর রাস পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ২৬ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার সকাল ১১.২৩ মিনিটে৷পূর্ণিমা ছেড…

 





শুভ রাস পূর্ণিমার প্রিতী ও শুভেচ্ছা রইলো সকলের জন্য। আসছে ২৭শে নভেম্বর সোমবার ২০২৩ইং, শ্রী শ্রী কৃষ্ণের রাস লীলা।।

রাস পূর্ণিমার তারিখ ও সময়ঃ-----

এই বছর রাস পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ২৬ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার সকাল ১১.২৩ মিনিটে৷

পূর্ণিমা ছেড়ে যাচ্ছে ২৭ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার সকাল ১০.১৫ মিনিটে৷

উদয়া তিথি অনুসারে রাস পালন করা হবে ২৭ নভেম্বর সোমবারে।

প্রশ্নঃ- রাস-লীলা, রাস-পূর্ণিমা, রাস-যাত্রা কি?

উত্তরঃ সর্ব্বেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার বিভূতি শ্রীমতি রাধারাণী সহিত গোপীকাগণকে নিয়ে বৃন্দাবনের রাগমন্ডলে মহারাস লীলা করেন।


প্রশ্নঃ- রাস কী?

উত্তরঃ- ঈশ্বরের সাথে আত্মার মহামিলনই রাস।


প্রশ্নঃ- গোপী কে?

উত্তরঃ- আত্মা, যারা তাদের পূণ্যবলে ভগবানের সাথে মিলিত হয়েছে।


প্রশ্নঃ- রাসে কী দৈহিক কাম বাসনা জাগ্রত হয়?

উত্তরঃ- কখনোই না কারণ দৈহিক কামনা বাসনার দেবতা কামদেব যখন রাস মন্ডলে এসে দৈহিক কাম ছড়াতে চেয়েছিল তখন ভগবান তাকে কদম গাছের সাথে বেধে রেখেছিল। কারণ, পরমাত্মার সাথে আত্মার মিলনে কোন কামনা বাসনা থাকে না, শুধু থাকে পবিত্র প্রেমভক্তি।


প্রশ্নঃ- রাসলীলার নামে পুরুষ-মহিলার নৃত্যকীর্ত্তনের যৌক্তিকতা কি?

উত্তরঃ- রাসলীলা কখনই অনুকরণীয় নয়। প্রজাপতি ব্রহ্মা, মহাদেব শিব, স্বর্গরাজ ইন্দ্র, সমস্ত দেব-দেবী, গন্ধর্ব, অপ্সরা-কারও পক্ষে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর হ্লাদিনী শক্তি শ্রীরাধারাণীর রাসলীলা অনুপ্রবেশ বা অনুকরনের যোগ্য নয়। 

তবে সে বিষয়ে মানুষের পক্ষে আর কি কথা? 

শ্রীব্রহ্মা ৬০ হাজার বছর তপস্যা করেও ভগবদহ্লাদিনী শক্তি ব্রজগোপিকাগণের চরণের ধূলিকণা মাত্র লাভ করার আকাঙ্ক্ষাও পূরণ করতে সক্ষম হননি। বৈকুন্ঠের লহ্মীদেবী শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলায় প্রবেশ করার সৌভাগ্য পর্যন্ত লাভ করতে পারেননি, তাই তিনি যমুনার অপর পারে কৃষ্ণপাদপদ্ম ধ্যানেই উপবিষ্ট হয়ে থাকলেন। মহাদেব শিব রাসলীলা দর্শনে গিয়েই বঞ্চিত হয়েছিলেন। অতএব যেখানে এইরকম অবস্থা ঘটে, সেই ক্ষেত্রে কি করে মল-মূত্র-কফ-পিত্ত বিশিষ্ট আধিব্যাধিযুক্ত, ধর্মনিষ্ঠাহীন, ব্রতহীন, কামুক, লম্পট দুরাচারী, মদ্য-মাংস প্রিয়, নেশাসেবী, জড়বুদ্ধিসর্বস্ব এঁচড়ে পাকাদের দল নিজেরাই রাধাকৃষ্ণ সেজে রাসলীলা করতে পারে? বা রাধাকৃষ্ণ তত্ত্ব সম্বন্ধে বাজে কথা বলতে পারে।

সুতরাং, যারা রাসলীলা সম্পর্কে অপপ্রচার করে তাদের উচিত শ্রীমদ্ভাগবত পড়া, শাস্ত্র পড়লে তারা বুঝতে পারবে রাস শুধু নৃত্যগীত নয়। আধ্যাত্মিকতার এক বড় পরিনতি।


No comments