ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/KEeuU3FM0lY
ব্রজ লাল চক থেকে কুকড়াহাটি সড়ক অন্ধকার কাটিয়ে আলোর পথে!গত দু'বছর ধরে টান-পড়ানোর পর অবশেষে ব্রজলালচক মোড় থেকে কুকুড়াহাটি পর্যন্ত সড়ক পথে পথ বাতি মেরামতির জন্য ৯০ লক্ষ টা…
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/KEeuU3FM0lY
ব্রজ লাল চক থেকে কুকড়াহাটি সড়ক অন্ধকার কাটিয়ে আলোর পথে!
গত দু'বছর ধরে টান-পড়ানোর পর অবশেষে ব্রজলালচক মোড় থেকে কুকুড়াহাটি পর্যন্ত সড়ক পথে পথ বাতি মেরামতির জন্য ৯০ লক্ষ টাকা টেন্ডার ডেকেছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ ( এইচডিএ)।
কলকাতা থেকে হুগলি নদী পেরিয়ে সরাসরি হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে আসার প্রবেশ পথ হিসেবে পরিচিত এই সড়ক। প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয় সম্প্রতি বালুঘাটা থেকে কুকুড়াহাটি পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ করে ডবল লেন করা হয়েছে। সম্প্রসারণের সময় রাস্তার দুপাশে লাগানো কয়েক কোটি টাকা পথবাতি নষ্ট হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
ফলে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পথ অন্ধকারে ডুবে রয়েছে দু বছরের বেশি সময়। নষ্ট হয়ে যাওয়া পথবাতী মেরামতি করে আলো জ্বালাতে পিডব্লিউডি রোডস সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থা এবং এইচডিএ কর্তৃপক্ষের গুড়ি মচি করেছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এইচডিএকে বারবার চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা জানান পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। অবশেষে বাসিন্দারা সবর হতে নড়েচড়ে বসে এইচডিএ। বালুঘাটা থেকে কুকড়াহাটি পর্যন্ত সড়ক পথ হলদিয়া থেকে কলিকাতা যোগাযোগের শতাব্দি প্রাচীর রাস্তা। এই রাস্তার পাশে রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ থাকতেন ঘোষের মোড় নামেই পরিচিত। সেই সময়কালে এটি ছোট রাস্তা ছিল কেবলমাত্র সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করার মত ছিল। পরবর্তীকালে এই রাস্তা সম্প্রসারণ হয়েছে। ওই পথে সুতাহাটা নন্দীগ্রাম খেজুরি থেকে মানুষজন কলকাতা যাওয়া, যাতায়াত করতেন। কলিকাতা থেকে খেজুরি পর্যন্ত প্রথম টেলিগ্রাম লাইন কুকড়াহাটি হয়ে গিয়েছিল। তারও আগে বালুঘাটা কুকড়াহাটি সড়ক চিঠি আদান-প্রদানের জন্য ডাক রোড হিসেবেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে সড়কটি পাকা হলেও সিঙ্গেল লেন ছিল।
বর্তমানে এইচ ডি এ হস্তক্ষেপে এই রাস্তা কলকাতা হলদিয়া শহর যোগাযোগের কুকড়াহাটি হুগলি নদীর রো রো ভেসেল চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর রো রো ভেসেল করে খুব কম সময়ে কলিকাতা বর্ণবাহী যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করার পরিকল্পনা হয়েছে সেই লক্ষ্যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কংক্রিট সড়ক গড়া হয়েছে।
ব্রজলাল চক মোড়ের কাছে ১১৬ জাতীয় সড়কের রাস্তাটি যুক্ত হওয়ার শিল্পাঞ্চল ঘিরে তৈরি হয়েছে রোড নেটওয়ার্ক।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দীর্ঘদিন আলো না থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের । এলাকার বাসিন্দারা বলেন ব্রজলাল চক থেকে কুকুড়া হাটি পর্যন্ত সড়কে দুপাশ ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের বেড়েছে দীর্ঘদিন আলো না থাকায় চুরি ছিনতাই ব্যাপক হারে বেড়েছে একই সঙ্গে বেড়েছে দুর্ঘটনা। রাস্তা সম্প্রসারণের সময় পথভাতী সমস্ত কেবিল লাইন নষ্ট হয়ে গিয়েছে বহু পথভাতী স্তম্ভ কংক্রিটের ব্যাচমেট ভেঙে পড়ে গিয়েছে হেলে রয়েছে চুরি হয়ে গিয়েছে দামি এলইডি ল্যাম্প। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা হরিহর চক্রবর্তী বলেন সড়ক অন্ধকার থাকা দুর্ঘটনা ছিনতাই বাড়লেও এইচডির কোন হেলদোল নেই দীর্ঘদিন ধরে ওরা ঢিলামি করছে। সিপিএম নেতা অমিতাহ পাল বলেন এইচডি গাফিলতিতেই মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে কিন্তু ওরা চোখ বুজে রয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব প্রাক্তন হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আলক রঞ্জন দাস বলেন এইচডি একে বারবার জানানোর পর তারা নড়েচড়ে বসেছে। এইচডি চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর বলেন ওই রাস্তার পাশে পি এইচ ই কাজ করার সময় অথবা কেবিল বাঁচিয়ে কাজ করেনি ফলের লাইট ড্যামেজ হয়ে যায়। এগুলি সরানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে বাজার কমিটিগুলির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। কারণ বাজার এলাকার জায়গা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এইচডিএ চিপ একজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর বলেন ব্রজলাল চোক থেকে কুকুড়াহাটি পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে পথবাতি মেরামতি ও নতুন করে বসানোর জন্য ৯০ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে আশা করা হচ্ছে তিন মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
কটাক্ষ করেছেন,বিএমএস রাজ্য সহ-সভাপতি হলদিয়া কলকাতার পোর্ট মজদুর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিজলী বলেন দীর্ঘদিন ক্ষমতায় বামপন্থীরা ছিলেন ,রাস্তা সংস্কারের কোনো পরিকল্পনা করেনি । বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এইচডি চেয়ারম্যান হওয়ার পরেই রাস্তা এবং বিদ্যুৎ নিয়ে এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন কিন্তু পদ পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথেই উদ্বোধক এর নাম মুছে দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকার মানুষের সুখ সমৃদ্ধি এবং পরিবহনের নতুন দিগন্ত এনেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করেছে বলেই দীর্ঘ দু বছরের বেশি ওই রাস্তার কাজ ইচ্ছা করে ঢিলেমি করেছে । এইচডিএ তে এলাকার মানুষের লিখিত অভিযোগ বারে বারে দেওয়ার ফলেই বাধ্য হয়ে এইচ ডি এর শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন হয়েছে।।
No comments