গরানখালি কৃষি সমবায় ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়ল আরো ১
হলদিয়া ব্লকের চকলালপুর-দেউলপোতা-গরানখালি কৃষি সমবায় ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়ল আরো এক ডাকাত । হাসানুর গাজি নামে ওই পলাতক ডাকাতকে কেরালা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ …
গরানখালি কৃষি সমবায় ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়ল আরো ১
হলদিয়া ব্লকের চকলালপুর-দেউলপোতা-গরানখালি কৃষি সমবায় ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়ল আরো এক ডাকাত । হাসানুর গাজি নামে ওই পলাতক ডাকাতকে কেরালা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর এই ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে । প্রায় সাড়ে বার লাখ টাকা চম্পট দেয় ৮ সদস্যের ডাকাত দলটি । ঘটনার যাবতীয় সূত্র লুকোতে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কটিও নিয়েছে । দিনে দুপুরে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ।
এলাকার দীর্ঘ ৪৬ বছরের পুরনো সমবায় সমিতি । কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট (সিএসপি) নামে ব্যাংকিং পরিষেবা বছর তিনেক আগেই চালু হয়েছে । সমবায়ের ১ হাজার ৩২ জন সদস্যের পাশাপাশি এলাকার মানুষ এই সমবায় ব্যাংকে টাকা লেনদেন করে থাকেন । সব মিলিয়ে এই ব্যাংকে সাড়ে তিন হাজার গ্রাহক রয়েছেন । কৃষি দিন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য ঋণ দেওয়ার কাজ এখানে বেশি হয় । চাষবাসের কাজের পাশাপাশি হাতের কাজ করে স্বনির্ভর হওয়ার নানা কাজ করেন এলাকার মহিলারা । বছরে প্রায় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয় । সারা সময় গ্রাহকদের ভিড় লেগেই থাকে । কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবারের চিত্রটা ছিল অন্যরকম । দুপুরবেলা গ্রাহক তেমন ছিল না বললেই চলে । ঘড়ির কাঁটায় যখন ১২টা বেজে ১০ মিনিট, তখন বন্দুকধারী চার ডাকাত মাথায় হেলমেট পরা অবস্থায় ব্যাংকের মধ্যে ঢোকে । ব্যাংকে ম্যানেজারসহ বাকি তিনজন কর্মী উপস্থিত ছিলেন । গ্রাহক বলতে তখন একজন মহিলা তার শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়েছিলেন । সেই মুহূর্তে সবাইকে হাত উপর দিকে তুলে চুপচাপ দাঁড়াতে বলেন । ডাকাত বুঝেই ভীতসন্ত্রস্ত সকলেই সেইমতো হাত উপরে তুলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে পড়েন । তারপর তাদেরকে ম্যানেজারের ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় । এরপর ব্যাংকের আলমারি, ভল্ট সবকিছু ভেঙে সমস্ত টাকা ডাকাতরা নিজেদের ব্যাগে ভরে নেয় । নেয় সিসি ক্যামেরা সিস্টেমের হার্ডডিস্কটি । তারপর ব্যাংকের সবাইকে একটি শৌচাগারের মধ্যে ঢুকিয়ে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেয় । তারপর বাইকে চেপে ডাকাতরা পালিয়ে যায় । হাড় হিম করা এমন ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করে । ধরা পড়ে ৫ জন ডাকাত । কেরালা থেকে ১ জন ধরা পড়ার পর ধৃত ডাকাতের সংখ্যা ৬ জনে দাঁড়িয়েছে । হলদিয়া মহকুমা আদালতের নির্দেশে ধৃতের ৮ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে । ডাকাতি হওয়া সাড়ে ১২ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে আড়াই লাখ টাকা । চলছে আরও দুই ডাকাতের খোঁজ ।
No comments