পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কার্নিভালে ১৮ পুজো কমিটির যোগ, স্বস্তি প্রশাসনের
'অনীহা'র মধ্যেও জেলার ১৮টি পুজো কমিটি যোগ দিল কার্নিভালে। নানা থিমের ছটায় অংশগ্রহণকারীরা কেউ বা বার্তা দিলেন 'যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই', তো কে…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কার্নিভালে ১৮ পুজো কমিটির যোগ, স্বস্তি প্রশাসনের
'অনীহা'র মধ্যেও জেলার ১৮টি পুজো কমিটি যোগ দিল কার্নিভালে। নানা থিমের ছটায় অংশগ্রহণকারীরা কেউ বা বার্তা দিলেন 'যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই', তো কেউ বা আবার ‘অকালবোধন'। তবে বিতর্কের মধ্যেও চলতি বছর এই কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী পুজো কমিটির সংখ্যা কিছুটা বাড়ায় স্বস্তি প্রশাসনের অন্দরেও। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রশাসনিক তৎপরতায় তমলুকের পুরনো জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে আয়োজন করা হয় এই কার্নিভালের। তমলুকের অঙ্কন শিল্পীদের সমন্বয়ে রাজপথজুড়ে আঁকা হয় নানা রঙের আলপনা। ব্যানার, পোস্টারে আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হয় কার্নিভাল চত্বর। বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হয় কার্নিভাল। প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চলতি বছর মোট দুর্গাপুজো কমিটির সংখ্যা সরকারিভাবে প্রায় ১৬০০। যার মধ্যে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে পুজো কমিটিকে। যেখানে জেলার এই কার্নিভালে অংশ নেয় তমলুক, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট,
নন্দকুমার, চণ্ডীপুর ও মহিষাদলের মোট ১৮টি পুজো কমিটি। অর্থাৎ গতবারের থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই পুজো কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বেড়েছে আরও ৪টি। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও তাম্রলিপ্ত পুরসভার সহযোগিতায় কার্নিভালে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অখিল গিরি এবং বিপ্লব রায়চৌধুরী, বিধায়ক সৌমেনকুমার মহাপাত্র, তরুণ মাইতি, সুকুমার দে, তিলককুমার চক্রবর্তী, জেলাশাসক তানবীর আবজল, জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ। তমলুকের হাসপাতাল মোড় থেকে রণপা, ছৌ- নৃত্য, ধুনুচি নাচ, দামসা, মাদল, আদিবাসী নৃত্য-সহ এই শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ করে নিমতলা মোড় পর্যন্ত। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই কার্নিভাল দেখতে রীতিমতো ভিড় উপচে পড়ে রাজপথ জুড়ে। ফলে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তায় আগে থেকেই গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয়। অতিরিক্ত জেলাপুলিশ সুপার এম এম হাসানের নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যান চলাচল। কার্নিভালে অংশে নেওয়া
নন্দকুমারের এনসিসি দুর্গাপুজো কমিটির থিম ছিল- হে দলা, জয়রামবাটি সংঘর্ষি ক্লাবের থিম- কথাকলি। তমলুক শহরের প্রাণ কেন্দ্রে আদি তাম্রলিপ্ত সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, খামারচকের ওলাবিবি দুর্গোৎসব কমিটির থিম অবশ্য সাবেকি প্রতিমার সামনে ধুনুচি নাচ। তমলুকের আর একটি পুজো কমিটি হিসেবে ইউথ স্পোর্টিং ক্লাবের থিম ওড়িশার ধবলগিরি। স্টিমারঘাট পল্লি ব্রাইট ফিউচার, সৈয়দপুর আমরা সবাই ক্লাবের থিম অকালবোধন। নারী প্রগতি রেগুলেটেড মার্কেট দুর্গোৎসব কমিটির থিম- মায়ের আহয়ানে প্রকৃতির রূপ। এভাবেই একে একে আমরা সবাই ষোলোফুকার, ডিমারি সর্বজনীন শারদোৎসব, চৌরাস্তা শক্তি সংঘ তাদের সাবেকি প্রতিমার সামনে সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইলে ধুনুচি নাচ প্রদর্শন করে। নরঘাট সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, চণ্ডীপুরের বিদ্যাসাগর ময়দান দুর্গোৎসব কমিটি, বেনেপুকুর স্কোয়ার, মহিষাদলের স্পোর্টিং ক্লাব, পাঁশকুড়ার চিলড্রেন পার্ক আমারা সবাই ও মধুসূদন বার সংগ্রামী সাথী কার্নিভালে
No comments