পুজোর আগে বকেয়া ভাতা পুজোর আগেই লক্ষ্মীলাভ।
বকেয়া পুর ভাতা পেলেন হলদিয়া পুরসভার প্রবীণ নাগরিকেরা। প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করে মেটানো হল ৩৫০৭ জনের বকেয়া ভাতা। ভাতা পেয়ে খুশি উপভোক্তারাও।প্রবীণ নাগরিক ও বিধবাদের ২৫০ টাকা করে মা…
পুজোর আগে বকেয়া ভাতা পুজোর আগেই লক্ষ্মীলাভ।
বকেয়া পুর ভাতা পেলেন হলদিয়া পুরসভার প্রবীণ নাগরিকেরা। প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করে মেটানো হল ৩৫০৭ জনের বকেয়া ভাতা। ভাতা পেয়ে খুশি উপভোক্তারাও।
প্রবীণ নাগরিক ও বিধবাদের ২৫০ টাকা করে মাসিক ভাতা দিয়ে থাকেন হলদিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন কারণে বিগত কয়েক মাস সেই ভাতা বন্ধ ছিল। কেউ ৬ মাস আবার কেউ ১ বছর ধরে ভাতা পাননি। পুজো চলে আলায় তা নিয়ে ক্ষোভও বাড়ছিল। সেটা আঁচ করেই সম্প্রতি বকেয়া ভাতা মেটানোর ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন পুর কর্তৃপক্ষ।
আগে ২২৬ জন উপভোক্তাকে নগদে মাসিক ভাতা দেওয়া হত। সম্প্রতি নগদে ভাতা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে শিবির চালু করে এবং বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে তাঁদের জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টেই জমা করা হচ্ছে বকেয়া ভাতার টাকা।
পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ষাট পার করা রামকৃষ্ণ জানা যেমন বকেয়া মিলিয়ে পেয়েছেন আড়াই হাজার টাকা। অ্যাকাউন্ট ছিল না পুষ্প হাজরার। তাঁর অ্যাকাউন্ট চালু করে দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। তিনি পেয়েছেন সাড়ে তিন হাজার টাকা। স্বভাবত তাঁরা খুশি। পুর-প্রশাসক তথা ও হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। প্রবীণ নাগরদিকের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে এই উদ্যোগ নেওয়ায় হয়েছে। পুজোর আগে বকেয়া ভাতা মেটাতে পেরে আমরাও খুশি।”
No comments