চরম বিপদ সীমার উপরে দামোদর বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়
পুজোর প্রাক মুহূর্তে ডিভিসির ছাড়া জল ও নিম্নচাপের বৃষ্টিতে প্লাবিত হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। দামোদরের জল চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারকেশ্বর ও জাঙ্গিপা…
চরম বিপদ সীমার উপরে দামোদর বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়
পুজোর প্রাক মুহূর্তে ডিভিসির ছাড়া জল ও নিম্নচাপের বৃষ্টিতে প্লাবিত হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। দামোদরের জল চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারকেশ্বর ও জাঙ্গিপাড়া ব্লকে কোথাও দামোদরের বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিপদের আশঙ্কায় কাঁটা হয়ে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিপুল পরিমাণ চাষজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে পাঁচশোর বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। জেলাসদর থেকে কর্মী-অফিসারদেরও বন্যাপীড়িত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপর সতর্ক নজরদারি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তারকেশ্বর ব্লকের চাঁপাডাঙা পঞ্চায়েতের বিনোগ্রাম, পশ্চিম রামনগর, চাঁপাডাঙা ও সাহাচক এলাকায় প্রায় ১০০টি পরিবার ঘরছাড়া। স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বানভাসি পরিবারের সদস্যদের দুটি স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। কিছু পরিবার বাঁধের উপর ত্রিপল টাঙিয়ে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছে। জাঙ্গিপাড়া ব্লকেরও একই অবস্থা। এখানকার আকনা, সেনপুর, ছিটগোলা, রাজবলহাট-১ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। মোট ৩৫০ জন স্থানান্তরিত। নিম্ন দামোদর এলাকাতেও মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলায় এনডিআরএফের দু’টি টিম ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। এছাড়া এসডিআরএফের একাধিক টিম এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। প্লাবিত পঞ্চায়েতগুলিতে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী ও ত্রিপল মজুত করা হয়েছে। তবে কয়েকশো একর চাষজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
No comments