দুর্গা পূজার নিঘণ্ট- ২০২৩
মহালয়া - ১৪ অক্টোবর, শনিবার।বাঙ্গালীর এক আবেগ অনুভূতি হল মহালয়া । ভোর চারটের সময় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ‘
আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর।ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা।প্রকৃতির অন্তরা…
দুর্গা পূজার নিঘণ্ট- ২০২৩
মহালয়া - ১৪ অক্টোবর, শনিবার।
বাঙ্গালীর এক আবেগ অনুভূতি হল মহালয়া । ভোর চারটের সময় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ‘
আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর।
ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা।
প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমনবার্তা।
শুনেই মনটা হু হু করে উঠে। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে। কাশের দোলনায় মন পাড়ি দেয় দেবী দুর্গার কাছে। শুরু হয় ভগবতী বন্দনার সূচনা।
ষষ্ঠী - ২০ অক্টোবর, শুক্রবার
ষষ্ঠী মানেই দেবীর বোধন। অকাল বোধনে দেবীকে আহ্বান করা হয়। মৃন্ময়ী মূর্তিতে চিন্ময়ী রূপে বিরাজ করার জন্য অধিবাস ও আমন্ত্রন।
সপ্তমী - ২১ অক্টোবর, শনিবার
ক্ষেত্রবিশেষে কুলাচার অনুসারে সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ পূজা, নবপত্রিকা স্নান, প্রবেশ ও স্থাপন, সপ্তমীবিহীত পূজা।
মহাষ্টমী - ২২ অক্টোবর, রবিবার
সকালে মায়ের অষ্টমী পূজা ও অঞ্জলী। সন্ধ্যায় দেবীর সন্ধি পূজা। সনাতনী বাঙ্গালি এই দিনে নতুন বস্ত্র পরিধান করে ভগবতীর চরণে ফুল বেলপত্র দিয়ে ভক্তিভাব নিয়ে অষ্টমীর অঞ্জলী দিয়ে থাকে।
কুমারি পূজাঃ
সনাতন শাস্ত্রে নারীকে সম্মান ও শ্রদ্ধার আসনে বসাতে এবং দেবীর কুমারী রূপের আরাধনা করতেই এই পূজার বিধান দেওয়া হয়েছে। মনের অন্তরের পশুত্ত্বকে সংযত রেখে নারীকে সম্মান জানানোই কুমারী পূজার প্রধান ও মূল লক্ষ্য। মহাষ্টমীর দিনে অনেক জায়গায় কুমারী পূজা দেখা যায়।
মহানবমী - ২৩ অক্টোবর, সোমবার
শাস্ত্র মতে, মহানবমীতেই দেবী বন্দনার সমাপ্তি। তাই ভক্তরা প্রার্থনা করতে থাকেন দেবীর উদ্দেশ্যে। যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮ টি বেল পাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়।
বিজয়া দশমী - ২৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার
প্রভাতে মায়ের বিদায় বেলা অর্থাৎ দর্পন বিসর্জন। দেবী ফিরে চলেন কৈলাশে। সন্ধ্যায় সিঁদুর খেলা ও মাকে তেল সিঁদুর দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে বিসর্জন করা হয়।
পঞ্জিকা অনুসারে এবারের তথা ইংরেজি ২০২৩ এবং বাংলা ১৪৩০ সনে , শ্রীশ্রীশারদীয়া দেবী মা দুর্গার আগমন এবং গমন উভয়েই ঘটবে ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় , যার অর্থ হলো ছত্রভঙ্গ ।
No comments