আবাসিকদের হাতের কাজে সাজল হলদিয়ার মাতৃমণ্ডপ
আবাসিকদের হাতের কাজে সাজল পুজোর মণ্ডপ। কৃষ্ণেন্দু মজুমদার নামে এক আবাসিকের আঁকা দুর্গা আরাধনা ছবি দিয়ে আমন্ত্রণপত্র সাজানো হয়েছে। পুজোয় ভোগ তৈরির আয়োজন, নাডু তৈরির কাজ সবটাই শঙ্করী …
আবাসিকদের হাতের কাজে সাজল হলদিয়ার মাতৃমণ্ডপ
আবাসিকদের হাতের কাজে সাজল পুজোর মণ্ডপ। কৃষ্ণেন্দু মজুমদার নামে এক আবাসিকের আঁকা দুর্গা আরাধনা ছবি দিয়ে আমন্ত্রণপত্র সাজানো হয়েছে। পুজোয় ভোগ তৈরির আয়োজন, নাডু তৈরির কাজ সবটাই শঙ্করী শাসমল, চন্দ্রাবতী দাস, পরিচিতা অন্য আবাসিক মহিলাদের হাতে প্রস্তুত হচ্ছে। এবার ২৪তম পল্লীকথা সর্বজনীন শারোদৎসবে মেতে উঠলেন গান্ধী আশ্রম কিংবা হলদিয়া সমাজ কল্যাণ পর্ষদের আবাসিক। ১৯৪৫ সালে মহাত্মা গান্ধী এখানে এসেছিলেন। তৎকালীন সুতাহাটাবাসীর উদ্দেশ্যে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। সেই থেকে গান্ধী এটি পরিচিত। আশ্রম নামেও এটি এখানকার আবাসিক রবিদাস সহ অন্যদের হাতের তৈরি ধূপ পুজোর জন্য করা হয়েছে। আবাসিক লক্ষ্মণকান্তি দাস, মলয় কুন্ডু আরও কয়েকজন গান পরিবেশনার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখানকার 'স্বধার' হোমের ৩০ জন মহিলা পুজোর বিভিন্ন কাজে হাত লাগিয়েছেন। পুজোয় ভোগ তৈরি তাদের হাতে। রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দফতরের লোকগানের এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন। পাশাপাশি এই আশ্রমের কুমুদিনী ডাকুয়া বালিকা আবাসের আবাসিকরা পরিবেশন করছেন নাচ, গান, আবৃত্তি। হলদিয়া সমাজ পর্যদের সাধারণ সম্পাদক দুলাল সামন্ত জানান, “গান্ধীজীর স্মৃতি বিজড়িত এই আশ্রম। সমাজের অসহায়, আশ্রয়হীন শিশু মহিলাদের পাশাপাশি বিশেষ এখানে থাকে ওদের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে বছরে সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুর্গোৎসব তার মধ্যে অন্যতম। এই আশ্রমের সমস্ত আবাসিক বিভিন্ন কাজে সানন্দে হাত লাগান। এটা আমাদের সকলের প্রাণের পুজো। সকলকে নিয়ে আমরা আনন্দে মেতে উঠি।”
No comments