Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

করোনার সময় হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে রামনগর সৈকতের পাসে ফিরে পেল মহিষাদলের পরিবার

করোনার সময় হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে রামনগর সৈকতের পাসে ফিরে পেল মহিষাদলের পরিবার
করোনা মহামারী প্রাণ কেড়ে নিয়েছে অনেকের। আবার মহামারীতে প্রাণে বেচেঁছেন অনেকে। কথায় বলে রাখে হরি মারে কে। করোনা মহামারীর সময় হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে তিন…

 




করোনার সময় হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে রামনগর সৈকতের পাসে ফিরে পেল মহিষাদলের পরিবার


করোনা মহামারী প্রাণ কেড়ে নিয়েছে অনেকের। আবার মহামারীতে প্রাণে বেচেঁছেন অনেকে। কথায় বলে রাখে হরি মারে কে। করোনা মহামারীর সময় হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে তিন বছর পর ফিরে পেল মহিষাদলের পরিবার।মেয়ের নাম অপর্না পাল বাবা শ্যাম সুন্দর পাল মা অনিতা পাল

মহিষাদলের কেশবপুর গ্রামে বাড়ি। ছোটবেলা থেকেই সুন্দর স্বাভাবিক মেধাবী মেয়ে ছিল অপর্না। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর হঠাৎ করেই মাথার সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় কথা বলা বন্ধ ও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে বাড়ি থেকে এদিক সেদিক অন্যত্র চলে যেত সে। করোনার সময় হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় তাকে খোঁজাখুঁজির পরেও আর পাওয়া যায় না। আজ রামনগরে তালগাছড়ি দুই অঞ্চলের অন্তর্গত চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাকে পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তার খোঁজখবর করে পরিবারকে জানায়। স্থানীয় বাসিন্দারা  বলছেন রামনগরের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় এই মেয়েটিকে প্রায় দেখা যেত মানসিক ভারসাম্য হীন ভাবে সে এখানে সেখানে খাবার চেয়ে খেত। দীর্ঘদিন পর মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে খুঁজে পেয়ে খুশি পরিবার। মেয়ের বাবা শ্যামসুন্দর পাল বলেন অভাব অনটনের মধ্যে আমি ছেলেমেয়েদের বড় করেছি। আমি মাধ্যমিক দেওয়ার পর হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। টাকা পয়সার অভাবে তেমন চিকিৎসাও করাতে পারিনি মেয়ে করনার সময় হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়ায় অভিযোগ করেও মেয়েকে কোনভাবেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না আজ খুঁজে পেয়ে ভালো লাগছে। রামনগরে তালগাছড়ি দুই পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় মানুষরা মেয়েটিকে নাম ঠিকানা জানতে চাইলেও সে কিছুই বলতে পারতো না হঠাৎ একদিন তাকে লিখতে দিলে সে তার বাড়ির ঠিকানা লিখে দেয়। তারপরেই স্থানীয়রা যোগাযোগ করে মহিষাদলে মেয়েটির গ্রামে। আজ অপর্ণার বাবা মা ও পরিবারের লোকজন নিতে আসে অপর্ণাকে। অনেকদিন পর বাবা মাকে পেয়ে খুশি অপর্নাও।

No comments