ডেপুটেশন দিলেন হলদিয়া পৌরসভারই স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রথম পর্যায়ের সুপারভাইজারগণ
এমনিতে কম বেতন । তারপর কাজ করলেও কাজের স্বীকৃতি নেই । তাদের উচ্চকাজের কৃতিত্ব পান অপর স্বাস্থ্য কর্মীরা । সেই সমস্ত কিছুর প্রতিবাদে এবং ন্যায্য অধিকা…
ডেপুটেশন দিলেন হলদিয়া পৌরসভারই স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রথম পর্যায়ের সুপারভাইজারগণ
এমনিতে কম বেতন । তারপর কাজ করলেও কাজের স্বীকৃতি নেই । তাদের উচ্চকাজের কৃতিত্ব পান অপর স্বাস্থ্য কর্মীরা । সেই সমস্ত কিছুর প্রতিবাদে এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষার দাবিতে শনিবার হলদিয়া পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার তাপস মুখোপাধ্যায়ের কাছে ডেপুটেশন দিলেন হলদিয়া পৌরসভারই স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রথম পর্যায়ের সুপারভাইজারগণ । আগেই এই পুরসভার ১৩জন নার্স কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন । তারপর ফের ৮ জন স্বাস্থ্য কর্মীর(ফার্স্ট টাইপ সুপারভাইজার)আন্দোলন পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ।
গত ২০০৭ সাল থেকে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে এমন ৮ জন মহিলা কর্মী কর্মরত । তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মা ও শিশুদের টিকাকরণ, ওষুধ বিতরণের কাজও করতে হয় । কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার প্রয়োজনীয় কাজ করেছেন এই স্বাস্থ্য কর্মীরা । এখন স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কাজগুলি করতে হচ্ছে । ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের বহু কাজ তারা করলেও সেটি তাদের কাজ হিসেবে দেখানো হয় না । প্রশাসনের খাতায় কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের কৃতিত্ব হিসেবে দেখানো হয় । এত দিন কাজ করলেও তাঁদের কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি নেই । নেই উপযুক্ত বেতন । এহেন চরম প্রশাসনিক অবহেলার শিকার হওয়ার কারণে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে এই স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে । প্রতিবাদে শনিবার মাঠে নেমেছেন এই (এফটিএস)স্বাস্থ্যকর্মীরা । আন্দোলনকারী স্বাস্থ্য কর্মীদের নেত্রী নিয়তি মাইতি জানান,"দীর্ঘ ১৬ বছর কাজ করেও আজ আমরা অপেক্ষিত । হাজার কাজ করলেও আমাদের কাজের স্বীকৃতি দেন না সংশ্লিষ্ট আধিকারিকগণ । আমাদের কাজের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব পান কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টরা । এভাবেই বছরের উপর বছর চলে এসেছে । স্বল্প বেতনে কাজ করে আমরা মুখ বুজে যন্ত্রণা সহ্য করেছি । আর তা হতে দিতে চাই না ।
ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি আমরা । নিজেদের কাজ সচল রেখে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে আমরা নামছি ।"বিষয়টি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য দফতরের এক্তিয়ারভূক্ত । এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যকর্তারাই নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন হলদিয়া পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার তাপস মুখোপাধ্যায় । তিনি আরো বলেন,"স্বাস্থ্য পরিষেবা জরুরি পরিষেবা । সেই পরিষেবা সচল রাখতে বলেছি আন্দোলনকারী স্বাস্থ্য কর্মীদের । ওরা যে দাবি কিংবা আবেদন রেখেছেন সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো । কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরে যার যা দায়িত্ব তা ঠিকঠাক সময় মেনে পালন করে যেতে হবে ।" স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোনরকম বিঘ্ন না ঘটিয়ে এই অসহায় স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলন চলবে বলে তারা সাফ জানিয়েছেন । পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এমন ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর পাশাপাশি সারা রাজ্যে প্রায় সাড়ে আটশো স্বাস্থ্যকর্মী এমন সমস্যার শিকার হয়েছেন । প্রয়োজনে আইনি পথে গিয়ে তারা তাদের অধিকার রক্ষার লড়াই করবেন বলে জানা গিয়েছে ।
No comments