Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

জিপিএস পদ্ধতির নজরদারি ফাঁকি দিয়ে ফের হলদিয়া থেকে উধাও হয়ে গেল প্রায় ২২ লক্ষ টাকার ভোজ্যতেল বোঝাই ট্রাক

জিপিএস পদ্ধতির নজরদারি ফাঁকি দিয়ে ফের হলদিয়া থেকে উধাও হয়ে গেল প্রায় ২২ লক্ষ টাকার ভোজ্যতেল বোঝাই ট্রাক।গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস পদ্ধতির নজরদারি ফাঁকি দিয়ে ফের হলদিয়া থেকে উধাও হয়ে গেল প্রায় ২২ লক্ষ টাকার ভোজ্যতে…

 



জিপিএস পদ্ধতির নজরদারি ফাঁকি দিয়ে ফের হলদিয়া থেকে উধাও হয়ে গেল প্রায় ২২ লক্ষ টাকার ভোজ্যতেল বোঝাই ট্রাক।

গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস পদ্ধতির নজরদারি ফাঁকি দিয়ে ফের হলদিয়া থেকে উধাও হয়ে গেল প্রায় ২২ লক্ষ টাকার ভোজ্যতেল বোঝাই ট্রাক। হলদিয়ার একটি নামী সংস্থার ভোজ্যতেলের পাউচ ভর্তি দেড় হাজারের বেশি কার্টুন বক্স নিয়ে ওই ট্রাক হলদিয়া থেকে বিহারের পাটনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। মাঝরাস্তায় ট্রাকটি জিপিএস সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়েছে বলে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার প্রায় দু' সপ্তাহ পরও ট্রাকের হদিশ মেলেনি। গত জুন মাসের মাঝামাঝি একইভাবে ২৫ লক্ষ টাকার ভোজ্যতেল বোঝাই একটি ট্রাক শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে উধাও হয়ে গিয়েছিল। গত বছর ২৪ ডিসেম্বর ঠিক একইভাবে জিপিএস সিস্টেমকে ধোঁকা দিয়ে হলদিয়া থেকে বিহার যাওয়ার পথে মাঝরাস্তায় উধাও হয়ে গিয়েছিল ২২ লক্ষ টাকার ভোজ্যতেল বোঝাই একটি ট্রাক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার ইমামি অ্যাগ্রোটেক ভোজ্যতেল কারখানা থেকে ভিন

পুলিস জানিয়েছে, গত ২২ আগস্ট ইমামি অ্যাগ্রোটেক ভোজ্যতেল কারখানায় লোডিং করে ট্রাকটি পাটনার উদ্দেশে রওনা দেয়। ওই ট্রাকে ১৬৪৫ বক্স পণ্য লোড করা হয়। ভোজ্যতেলের মূল্য (ইনভয়েস ভ্যালু) ২১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৯১ টাকা। পাটনার বিকাশ ট্রেডার্স ওই পণা বুক করেছিল। কলকাতার কোগোপোর্ট নামে একটি সংস্থা ওই পণ্য পৌঁছনোর দায়িত্বে ছিল। ট্রাক। ওই সংস্থা জানায়, ২৪ আগস্ট ট্রাকটি কোথায় জানতে চেয়ে ড্রাইভারকে ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ দেখায়। ট্রাক ড্রাইভার, গাড়ির মালিক, ব্রোকার সবাইয়ের ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ দানা বাঁধে। দু' সপ্তাহ পরও পাটনার


তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকরা বলেন, পণ্য বোঝাই গাড়ি হাইজ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে হলদিয়ার কোনও শিল্প সংস্থাই বাদ যাচ্ছে না। কখনও বাইরে থেকে হলদিয়ার কারখানায় পণ্য এলে তা লুট করছে দুষ্কৃতীরা। কারখানার গেটের অদূরে


গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার পণ্য হাপিস করে দিচ্ছে। এক্সাইডের ক্ষেত্রে এই ঘটনা বার বার ঘটেছে। বন্দর থেকে স্টিম কোল অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাক সহ হাইজ্যাক হচ্ছে। পরে ট্রাক ভিন জেলা থেকে পাওয়া গেলেও পণ্য পাচার হয়ে যায়। প্লাস্টিক দানা এবং ভোজ্য তেল সবচেয়ে চ লাভজনক বলে লক্ষ লক্ষ টাকার এই জাতীয় ও পণ্য বেশি উধাও হয়। এই ঘটনায় শিল্প সংস্থাগুলি গ কার্যত নাজেহাল এবং পুলিসও বিপাকে পড়েছে রা তদন্তে নেমে। হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পান্ডে বলেন, হাইজ্যাকিংয়ের ঘটনাগুলির সঙ্গে মূলত একদল ব্রোকার বা দালাল যুক্ত। এদের মাধ্যমেই ত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিগুলি গাড়ি বুকিং করতে গিয়ে এ বিপাকে পড়ছে। সিংহভাগ সময়ে গাড়ির মালিক ে বা ড্রাইভারদের সঠিক পরিচয়পত্র জমা না পড়ার হ কারণে এরা হাইজ্যাক করে পার পার পেয়ে যায়। এদের হদিশ করতে কালঘাম ছোটে পুলিসের। তি কয়েকদিনের মধ্যে পুলিস ট্রান্সপোর্টার, ব্রোকার, দু ড্রাইভারদের নিয়ে সচেতনতা বৈঠক করবে।


রাজ্যে পণ্য নিয়ে যাওয়ার পথে গত ৯ মাসে পর পর তিনটি ট্রাক উধাও হয়েছে। শুধু ইমামি নয়, অন্যান্য ভোজ্যতেল কারখানার পণ্যও কখনও হলদিয়ার গোডাউন থেকে, কখনও মাঝরাস্তা থেকে রহস্যজনকভাবে লুট হয়ে যাচ্ছে। হলদিয়া থেকে দেদার ভোজ্যতেল চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন শিল্প সংস্থাগুলি।


ট্রেডারের কাছে ভোজ্যতেল না পৌঁছনোয় হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে সংস্থাটি। তাদের অভিযোগ, পণ্য সহ ওই ট্রাকটি হাইজ্যাক করা হয়েছে। পুলিসের তথ্য জানাচ্ছে, গত দেড় বছরে হলদিয়া থেকে ভোজ্যতেল সহ বিভিন্ন শিল্প পণ্যের ১৬-১৭টি ট্রাক ছিনতাই বা লুট হয়েছে। চলতি বছরে শুধু এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত কয়েক মাসে হলদিয়ার শিল্প পণ্য নিয়ে যাতায়াতের পথে ৯টি ট্রাক হাইজ্যাক ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। কখনও ভূটান থেকে হলদিয়া বন্দর হয়ে বিদেশে কোটি টাকার দামি ফেরো সিলিকা রপ্তানির সময় লুট হয়ে যাচ্ছে ট্রাক থেকে, কখনও কর্পূরের মতো উবে যাচ্ছে এক্সাইডের ব্যাটারি বোঝাই আস্ত

No comments