ধারালো অস্ত্রে জখম ভিনরাজ্যের তরুণী উদ্ধার মহিষাদলেধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম ভিন রাজ্যের এক তরুণীকে উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মহিষাদলে। ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গাড়ুঘাটা এলাকার হনুমান মন্দিরের কাছ থেকে রক্তাক্ত…
ধারালো অস্ত্রে জখম ভিনরাজ্যের তরুণী উদ্ধার মহিষাদলে
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম ভিন রাজ্যের এক তরুণীকে উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মহিষাদলে। ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গাড়ুঘাটা এলাকার হনুমান মন্দিরের কাছ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, জখম তরুণীর নাম নেহা শর্মা। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল জেলার রাজপুরা থানা এলাকায়। বছর চব্বিশের ওই তরুণী এখন মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর গলার ডান দিকে ধারালো অস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। শনিবার সকালে তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস। তরুণীর কাছ থেকে তাঁর আধার, ভোটার কার্ড সহ পরিচয়ের সমস্ত নথি কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই তরুণীকে মহিষাদলের কোনও নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করার উদ্দেশে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রবিবার সকালে হাসপাতালে জাতীয় সেবা প্রকল্পের ফল বিতরণের সময় পরিচয় জানতে গিয়েই বিষয়টি নজরে আসে। মহিষাদলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিসি ঘেরাটোপে ওই মহিলার চলছে। প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পর তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। জ্ঞান ফেরার পরই রবিবার সকালে পুলিস তরুণীর পরিচয় জানতে পারে। পুলিসকে তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী মুকেশ তাঁকে কলকাতার পাশে কোনও গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এখানে আনেন। গাড়ঘাটার কাছে তাঁরা গাড়ি থেকে নামেন। তারপর টয়লেটে গিয়েই হঠাৎ তিনি আক্রান্ত হন। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার জেরে হঠাৎই তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর শুরু করেন এবং পকেট থেকে ছুরি বের করে গলায় চালিয়ে দেন। স্থানীয় হনুমান মন্দিরের কাছে অন্ধকারে ওই ঘটনা ঘটে। সারারাত বেহুঁশ অবস্থায় পড়েছিলেন ওই তরুণী।
পরে স্থানীয় মানুষ দেখতে পেয়ে পুলিসে খবর দিলে তাঁরা তরুণীকে উদ্ধার করেন। মহিষাদলের ওসি প্রলয়কুমার চন্দ্র বলেন, উত্তরপ্রদেশের এক তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। তবে তরুণী পুরোপুরি সুস্থ না হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না। পুলিস জানিয়েছে, তরুণীকে কী কারণে একটি অপরিচিত জায়গায় সন্ধে নাগাদ আনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার যোগসূত্র খুঁজতে মহিষাদলের নিষিদ্ধপল্লিতে অভিযান চালিয়েছে পুলিস।
বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, পুলিস ও প্রশাসনের নাকের ডগাতেই রমরমিয়ে নিষিদ্ধপল্লি চলছে। ওই তরুণীকে ভিনরাজ্য থেকে এনে বিক্রি করার উদ্দেশ্য ছিল কি না তা পুলিস খতিয়ে দেখুক। এলাকার একটি চক্র নারীপাচারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত এবং সক্রিয়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিস ও প্রশাসন কেন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়ে বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
No comments