ন’বছর আগে এজেন্ট নিয়োগের পরও ৩টি হল্ট চালু হয়নিভোটের আগে ফের দীঘা ও হলদিয়া লাইনে তিনটি হল্ট স্টেশনের সমীক্ষা শুরু রেলের ভোট বড় বালাই! লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই পাঁশকুড়া- হলদিয়া এবং পাঁশকুড়া-দীঘা লাইনে নতুন হল্ট স্টেশনের জন্য…
ন’বছর আগে এজেন্ট নিয়োগের পরও ৩টি হল্ট চালু হয়নি
ভোটের আগে ফের দীঘা ও হলদিয়া লাইনে তিনটি হল্ট স্টেশনের সমীক্ষা শুরু রেলের
ভোট বড় বালাই! লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই পাঁশকুড়া- হলদিয়া এবং পাঁশকুড়া-দীঘা লাইনে নতুন হল্ট স্টেশনের জন্য তোড়জোড় শুরু করল রেল। তৎপরতার সঙ্গে শুরু হল সার্ভে। জেলার দুই সাংসদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এই কাজ ‘আর্জেন্ট’ বলে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অথচ, ২০১৪ সালে এই দুই লাইনে তিনটি হল্ট স্টেশন চালুর অনুমোদন হয়েছিল। তারজন্য টেন্ডারের মাধ্যমে কমিশনের ভিত্তিতে টিকিট বিক্রির এজেন্টও নিয়োগ হয়। কিন্তু, সাড়ে ন'বছরে ওই তিন হল্ট স্টেশন গড়ে ওঠেনি। ভোট আসতেই নতুন করে আরও তিনটি হল্ট স্টেশনের সার্ভে শুরু করল রেল।
তমলুকের সাংসদ নন্দকুমার ব্লকের অধীন কাঞ্চনপুরে হল্ট স্টেশনের জন্য গত ১ আগস্ট রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠি পেয়ে দ্রুত সার্ভে করে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের কমার্শিয়াল ম্যানেজার প্রবীরকুমার ঘোষাল দুপুরের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চিঠি
করেছেন। ‘মোস্ট আর্জেন্ট' হিসেবে কাঞ্চনপুর হল্ট স্টেশনের সার্ভে করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কমার্শিয়াল বিভাগের পক্ষ থেকে অভিষেক মিশ্র নামে একজন অফিসারকে ওই টিমে নিযুক্ত করা দিয়েছিল। হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। যদিও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ সেপ্টেম্বর ওই কাঞ্চনপুর হল্ট স্টেশন নিয়ে সার্ভে হবে। তারপরই রিপোর্ট পাঠানো হবে।
পাঁশকুড়া-দীঘা লাইনে ইডিঞ্চিতে একটি হল্ট স্টেশন করার জন্য কাঁথির সংসদ সদস্য রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানেও জরুরি ভিত্তিতে সার্ভে করে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছ। একইভাবে পাঁশকুড়ার দক্ষিণ চাঁচিয়াড়া এলাকায় একটি হল্ট স্টেশনের জন্য শুক্রবার সার্ভে শুরু হয়। সাংসদরা যেসব জায়গায় হল্ট স্টেশনের জন্য সুপারিশ করছিলেন সেইসব নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সার্ভে শুরু হয়েছে। আর এনিয়ে অনেকে হাসাহাসি করছেন। তাঁরা এটাকে ভোটের গিমিক বলে অনেকে কটাক্ষ করছেন।
২০১৪ সালে ৩এপ্রিল খড়্গাপুরের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার প্যাসেঞ্জার হল্ট স্টেশনে কমিশন ভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তারমধ্যে ছিল, লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক ও দেশপ্রাণ স্টেশনের মাঝে কালিকাখালি, রঘুনাথবাড়ি ও রাজগোদা স্টেশনের মাঝে নীলকুণ্ঠা এবং সুতাহাটা থানার অন্তর্গত বরদা ও বাসুলিয়া স্টেশনের মাঝে দোরো কৃষ্ণনগর। এই তিনটি হল্ট স্টেশনে টিকিট বিক্রির জন্য ন'বছর আগে এজেন্ট নিয়োগ হয়েছে। হল্ট স্টেশনের জন্য অনুমোদনও হয়েছে। কিন্তু, পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। ফলে হল্ট স্টেশন চালুও হয়নি। ২০১৪ সালের আগে এটাও একটা ভোট গিমিক ছিল।
রেলের ডিভিশনাল ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(ডিটিআই) তপনকুমার পাত্র বলেন, কল্যাণচক, দক্ষিণ চাঁচিয়াড়া এবং ইড়িঞ্চি এলাকায় নতুন হল্ট স্টেশন তৈরির দাবি আছে। রেলের কাছেও এই দাবি এসেছে। সেজন্য আমরা সার্ভের কাজ শুরু করেছি। দ্রুত সার্ভে শেষ করে রিপোর্ট পাঠানো হবে।
No comments