সুতাহাটার পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু অসমের পানবাজারে
সুতাহাটার কুকড়াহাটির এক পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অসমের গুয়াহাটির পানবাজার থানা এলাকায় ওই শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়…
সুতাহাটার পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু অসমের পানবাজারে
সুতাহাটার কুকড়াহাটির এক পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অসমের গুয়াহাটির পানবাজার থানা এলাকায় ওই শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ মন্তাজ আলি (২৮)। কুঁকড়াহাটির আনারনগর গ্রামে তাঁর বাড়ি। গত ৬ সেপ্টেম্বর অসমে তাঁর মৃত্যু হয়। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের পর রবিবার রাতে সুতাহাটায় তাঁর দেহ এসে পৌঁছয়। কিন্তু কীভাবে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দিন পনেরো আগে ওই পরিযায়ী শ্রমিক গ্রামের আরও কয়েকজনের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। কুঁকড়াহাটি এলাকার লেবার সাপ্লায়ার খোকন ভৌমিক তাঁদের কাজের জন্য যোগাযোগ করিয়ে দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্তাজের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা জানতে তাঁর বাড়ির লোকজন এদিন সকালে খোকনকে ডেকে পাঠায়। এদিকে খোকন আক্রান্ত হতে পারে এই খবর পৌঁছয় পুলিসের কাছে। পুলিস তাঁকে উদ্ধার করার পর আটক করে। সুতাহাটা থানায় দিনভর জেরা করার পর কোনও তথ্য মেলেনি বলে দাবি পুলিসের। তদন্তকারী পুলিস জানিয়েছে, ওই ঠিকাদারের সঙ্গে মন্তাজ ভিন রাজ্য গিয়েছিল। সেখান থেকে কয়েকদিন পর বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ খড়্গপুর স্টেশন থেকে মন্তাজ ও আর এক শ্রমিক উধাও হয়ে যায়। সেখানে ভালো কাজের অফার পেয়েই নাকি অসমে পাড়ি দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পরে অসম থেকে মন্তাজের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। অসমের পানবাজার থানা এলাকার পুলিস ফোন করে খবরটি জানায়। মন্তাজের ডেথ সার্টিফিকেট থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় মুন্না শুক্লা বৈদ্য নামে এক কনস্টেবল। পুলিসের কাছ থেকে খবর পেয়ে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে মস্তাজের দেহ আনা হয় সুতাহাটায়। এই ঘটনায় শোকবিহ্বল তাঁর পরিবার। কিন্তু তাঁরা ছেলের মৃত্যু নিয়ে কোনওভাবে পুলিস বা ব্লক প্রশাসনের কাছে মুখ খুলতে চাইছেন না। এই ঘটনায় আরও রহস্য তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মস্তাজ প্রথমে ঠিক কোন রাজ্যে কাজে গিয়েছিল। কারণ প্রথমে গুজরাত বলা হলেও পরে বেঙ্গালুরু বলে দাবি করছে ঠিকাদার। অসম চলে যাওয়ার কারণও সবার কাছে স্পষ্ট নয়।
No comments