ডেঙ্গু হলে কি খাবেন????
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় প্যারাসিটামল ছাড়া আলাদা ওষুধ নেই। এই কারণে ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে ডায়েটের একটা বড় ভূমিকা থেকেই যায়। এমনকী সঠিক ডায়েটে প্রাণহানিও রুখে দেওয়া সম্ভব। ডেঙ্গুর দু’টি পর্যায় আছে। একটি পর্যায় হল জ্…
ডেঙ্গু হলে কি খাবেন????
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় প্যারাসিটামল ছাড়া আলাদা ওষুধ নেই। এই কারণে ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে ডায়েটের একটা বড় ভূমিকা থেকেই যায়। এমনকী সঠিক ডায়েটে প্রাণহানিও রুখে দেওয়া সম্ভব। ডেঙ্গুর দু’টি পর্যায় আছে। একটি পর্যায় হল জ্বরের পর্যায়। প্রথম চার পাঁচদিন রোগীর তীব্র জ্বর আসে। সঙ্গে থাকে গায়ে ব্যথা। এরপর আসে জ্বর কমার পর ‘রিকভারি পিরিয়ড’ বা সেরে ওঠার সময়। এই দ্বিতীয় পর্যায়ে বহু রোগীর হেমারেজ শুরু হয় ও কিছু বুঝে ওঠার আগে প্রাণ নিয়ে টানটানি পড়ে যায়। তাই ডেঙ্গুর দু’টি পর্যায়েই খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ সঠিকভাবে করলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। সমস্যা হল, বহু ডেঙ্গু রোগীর খাবারে রুচি চলে যায়। বমি বমি ভাব দেখা যায়। বমি হয়। কারও কারও ডায়ারিয়াও হয়। তাই রোগী যাতে খাবার খেতে পারেন, বমি-পায়খানা যাতে না হয় তার দিকে রাখতে হবে নজর। দেখা যাক কী কী করা সম্ভব?
ব্রেকফাস্ট
• রুটি, হালকা সব্জি বা ডাল এবং একটা ডিম সেদ্ধ খান। খেতে পারেন ছানা। খানিক পরে খান মুসাম্বির রস কিংবা ডাবের জল। ডাবের জল দিনে বার দু’য়েক নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই সময়। মনে রাখবেন তরল কোনও খাদ্য অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে।
• একেবারেই রুচি নেই, বমি হচ্ছে এমন হলে মুড়ি আর জল দিন। মুড়ি বমি বমি ভাব কাটাতেও সাহায্য করে।
ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মাঝে
একটা ফল অবশ্যই খেতে হবে। সেটা আপেল, কলা, পেয়ারা, মুসাম্বি, ন্যাসপাতি, পেঁপে— যা ভালো লাগে তাই খাবেন রোগী। ফলে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়ায়।
দু’টো তিনটে কাজু, আমন্ড, আখরোট, পেস্তা, খেজুর মুখে পুরে দিন মাঝেমধ্যে। প্রচুর খনিজ থাকায় দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করবে এই ধরনের বীজ ও ফল।
দুপুরে
ভাত খান। সঙ্গে রাখুন অল্প মশলা দিয়ে হালকা করে বানানো মাছের ঝোল। ডাল খান অনেকটা। তার সঙ্গে হালকা করে বানানো তৈরি সব্জি। খাবার শেষে আধঘণ্টা পর একবাটি টক দই খান। হজমে সহায়তা মিলবে।
বিকেলে
• ছোলা ভাজা দিয়ে চিঁড়ে ভাজা খেতে পারেন। খেতে পারেন ছোলা সেদ্ধ দিয়ে মুড়ি। তার সঙ্গে দিয়ে দিন একটু শসা, পিঁয়াজ, টম্যাটো কুচি।
• টম্যাটো স্যুপ, ভেজিটেবল স্যুপও চলতে পারে।
• ডিনারে চিকেন স্ট্যু দিয়ে রুটি খান। খেতে পারেন পনিরের তরকারিও। পাঁউরুটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
মনে রাখবেন
• ডেঙ্গু রোগী একেবারে অনেকটা খাবার খেতে পারেন না। তাই সারাদিনে ডায়েট কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নিন। বারবার অল্প অল্প করে খান।
• সারাদিনে মাঝেমধ্যেই নানাভাবে তরল খাদ্য দিন। উদাহরণ হিসেবে স্যুপ, ছাঁচ, ঘোল, ডাবের জলের কথা বলা যায়।
যা যা এড়িয়ে চলবেন
• চা, কফি, দুধ, কোল্ড ড্রিংকস। মশলাদার খাদ্য। সহজে হজম করা যাবে না এমন খাবার যেমন মাটন, এগরোল, ভাজাভুজি তৈলাক্ত খাদ্য।
• ডায়ারিয়া হয় অনেকের। তাই শাক খাওয়া এই সময়টায় এড়িয়ে চলতে পারেন।
• মাত্রাতিরিক্ত সুগার দেওয়া দেওয়া খাদ্য যেমন কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি।
• প্রিজারভেটিভ দেওয়া রেডি টু ইট খাদ্য যেমন নাগেটস, প্যাকেটজাত স্যুপ ইত্যাদি।
• চানাচুর, ঝুড়ি ভাজা।
No comments