হলদিয়া পুরসভার গ্যারান্টি পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই বিকল ২ কোটি টাকার পথবাতি
গ্যারান্টি পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই হলদিয়া পৌরসভার কয়েক হাজার দামী এলইডি পথ বাতি খারাপ হয়ে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে দুই কোটি টাকা খরচে ওই পথবাতি গুলি বসান…
হলদিয়া পুরসভার গ্যারান্টি পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই বিকল ২ কোটি টাকার পথবাতি
গ্যারান্টি পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই হলদিয়া পৌরসভার কয়েক হাজার দামী এলইডি পথ বাতি খারাপ হয়ে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে দুই কোটি টাকা খরচে ওই পথবাতি গুলি বসানো হয়েছিল, অভিযোগ গুণমান খারাপ হওয়ার কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে তার জেরে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কিছু কিছু এলাকার দিনের পর দিন অন্ধকার ডুবে থাকছে, সেই রাস্তায় যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চুরি ছিনতাই চলছে অসামাজিক কাজ।
পুরসভা ভবন থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার টাউনশিপ দুর্গাচক সর্বত্রই একই চিত্র। কোথাও দীর্ঘদিন আলো নেই কোথাও রাস্তায় আলো সারাক্ষণ জ্বলছে আর নিভচ্ছে। গ্রাম লাগুয়া ওয়ার্ড গুলিতে রাস্তায় প্রায় আলো জলে না বলেই চলে। হলদিয়ার রাস্তাঘাটে দুষ্কৃতীদের দাপট চরম আকার নিয়েছে। একটু রাত হলেই অন্ধকার রাস্তায় দুষ্কৃতীদের ভয়ে টোটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যাতায়াতের সমস্যায় পড়তে হয় শহরের বাসিন্দাদের।
পৌরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৭ সাল নাগাদ ২ কোটি টাকা খরচ করে ছয় হাজার এল ই ডি পথবাতি দিয়ে হলদিয়া শহর সাজানো হয়েছিল। ওই সময় পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামল কুমার আদক তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন গত এক বছর ধরে ওইসব পথবাতি মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই ওয়ার্ডের অভিযোগ জমছে পৌরসভায়।
পৌর এলাকার ২৯ ওয়ার্ডের সিংহভাগ পথবাতি জলে না। পথবাতি না থাকায় দুষ্কৃতীদের দাপট বাড়ছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে শহরে মোট ১৫ হাজার পথবাটি রয়েছে। গুণমান খারাপ থাকায় তার একাংশ নষ্ট হয়েছে । গ্যারান্টি পিরিয়ডের শেষের আগেই সেগুলি বাতিল করতে হচ্ছে। পুনরায় নতুন করে পথবাটি দিতে গিয়ে পৌরসভার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। পৌর সভার এক আধিকারিক বলেন পুজোর আগে প্রায় দেড় হাজার পথবাটি দেওয়া লাগানো হবে এর জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
কটাক্ষ করেছেন বিএম এস রাজ্য সহ-সভাপতি প্রদীপ বিজলী তিনি বলেন পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ই নির্বাচিত চেয়ারম্যান শ্যামল আদক। সেই সময় কালে যারা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ছিলেন ওই সময়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের দায়িত্বে কে ছিলেন? কম দামি এলইডি কেনা হচ্ছে তিনি কি ঘুমিয়ে ছিলেন ? না দেখেই তিনি ফাইলে সই করেছিলেন। চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর বোর্ডে পাস না করেই কি দু কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। যখনই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তখন এককভাবে চেয়ারম্যানের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে তাহলে কি সেই সময় সমস্ত চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলরগণ তার কাছ থেকে সুযোগ নেওয়ার জন্যই কি চুপ করেছিলেন। তিনি আরো বলেন সেই সময়কালের পৌর বলে 2 কোটি টাকার পথবাতি টেন্ডারের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক। তাহলে আসল তথ্য পৌর এলাকার মানুষের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
No comments