হলদিয়া রাধা পার্থ সারথি মন্দির জন্মাষ্টমীতে বিশেষভাবেই সাজানো হয়েছেভাদ্র মাসে কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতেই যখন রোহিনী নক্ষত্র প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সংস্কৃত কর্মকাণ্ড গান বা কীর্তন গীতিনাট্য ন…
হলদিয়া রাধা পার্থ সারথি মন্দির জন্মাষ্টমীতে বিশেষভাবেই সাজানো হয়েছে
ভাদ্র মাসে কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতেই যখন রোহিনী নক্ষত্র প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সংস্কৃত কর্মকাণ্ড গান বা কীর্তন গীতিনাট্য নাটক যাত্রার মধ্য দিয়ে রাসলীলা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করা হয়।
বিশেষ করে মথুরা বৃন্দাবন মনিপুর ইত্যাদি স্থানে এই অনুষ্ঠান অন্তত সাড়ম্বরের সাথে পালন করা হয়।
রাসলীলা কৃষ্ণের ছোট বয়সের কর্মকাণ্ড দেখানো হয় অন্যদিকে হান্ডি প্রথার কৃষ্ণের দুষ্টু স্বভাব প্রতিফলিত হয় যেখানে কয়েকজন শিশু মিলে উচ্চস্থানে বেঁধে রাখা মাখন এর হাড়ি ভাঙতে চেষ্টা করে। এই পরম্পরাকে তামিলনাড়ুতে উরিয়াদী নামে পালন করা হয়।
কৃষ্ণের জন্ম হওয়ার নন্দ রাজ সকলকে উপহার বিতরণ কাহিনী উদযাপন করতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পর বহু স্থানে নন্দ উৎসব পালন করা হয়।
চলতি বছরে কবে জন্মাষ্টমী কিভাবে পুজো করলে মিলবে কৃষ্ণের কৃপা। অষ্টমী তিথিতে রোহিনী নক্ষত্র হর্ষ চন্দ্র এবং বৃষ রাশিতে চন্দ্রের মধ্যে রাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। তাই এই দিনটিতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালন করা হয় বিশেষ গুরুত্ব সহকারে ।
এই দিনের নিয়ম মেনে পুজো করলে সমস্যা সমাধান হয় বলে কথিত রয়েছে, আসে সুখ সমৃদ্ধিও। বছরে কবে পড়ছে জন্মাষ্টমী কিভাবে পুজো করলে মিলবে কৃষ্ণের কৃপা?
চলতি বছরে জন্মাষ্টমী শুরু হচ্ছে ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল তিনটে ৩৭ মিনিট থেকে জন্মাষ্টমী শেষ ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল চারটে ১৪ মিনিটে। জন্মাষ্টমী পালন ৬ ও ৭ তারিখ দুদিনই পালন করা যাবে।
রোহিতি নক্ষত্র শুরু ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টা কুড়ি মিনিটে। রহি নক্ষত্র শেষ ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০:২৫ মিনিটে। নিশিতা পূজার সময় ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১ঃ৫৭ মিনিট থেকে শুরু যা চলবে ১২: ৪২ মিনিট পর্যন্ত।
জন্ম অষ্টমীর তাৎপর্য, শ্রীকৃষ্ণ জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালন করা হয় তাই এদিন অনেক বাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর পূজা হয় এবং শ্রীকৃষ্ণকে মনের মতন জিনিস নিবেদন করা হয়। কৃষ্ণ মন্দির গুলিতে সুন্দরভাবে সাজানো হয় ফুল দিয়ে।
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন উপোষ করে থাকতে হয়। সকালবেলা স্নান সেরে পুজো করুন শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করে পুজো শুরু করতে হয়। সারাদিন ফল খেতে পারেন জন্মাষ্টমীতে মধ্যভাগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা উচিত। জন্মাষ্টমীর মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণ দর্শনের পর দুধ গঙ্গাজল দেবতাকে অর্পণ করুন। দেবতাকে পরিষ্কার জামা কাপড় পরান সেই সঙ্গে ময়ূরের পালক হলুদ চন্দন ফুল মালা দেবতাকে অর্পণ করুন ।সেই দিন দেবতাকে মাখন চিনি, মিষ্টির ক্ষীর শুকনো ফল দিন তাতে অবশ্যই তুলসী পাতা দেবেন তারপর দেবতার সামনে ধুপ প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতার আরতী করুন এতেই শ্রীকৃষ্ণ খুশি হবেন।
শিল্প শহর হলদিয়ায় ইসকনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত রাধা পার্থ সারথী মন্দির সেই মন্দিরে বিরাজ করছেন কৃষ্ণ ও রাধিকা সঙ্গে আছেন জগন্নাথ বলরাম মাতা সুভদ্রা। জন্মাষ্টমী কে কেন্দ্র করে মন্দির প্রাঙ্গন সাজানো হয়েছে বিভিন্ন রকমের আলোর দিয়ে। আলোর রোশনায় এলাকায় যেন অকাল দীপাবলি আকার ধারণ করেছে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা হলদিয়া জুড়ে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের গেট তবে ইসকন মন্দির হলদিয়া পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ড বন বিষ্ণুপুর প্রতিষ্ঠিত হলেও ইসকনের আরেকটি অনুষ্ঠান সুতাহাটা সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে নামহট্ট দ্বারা পরিচালিত জন্মাষ্টমীর উৎসব পালিত হবে।
এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বৈষ্ণব ধর্মের একটি বড় উৎসব যা বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মতোই দুর্গোৎসব। বৈষ্ণব ধর্মাবলীদের কাছে রথযাত্রা ঝুলন যাত্রা এবং শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী একটি বড় উৎসব। হলদিয়া রাধা পার্থ সারথি মন্দির জন্মাষ্টমী কে কেন্দ্র করে এবারে আসছে বিদেশি ভক্তরাও প্রতিদিনই চলবে ভক্তিমূলক গান কীর্তন এবং সন্ধ্যা আরতি শেষে সকলের জন্য থাকছে মহাপ্রসাদ জানালেন হলদিয়া রাধা পার্থসারথী মন্দিরের জেনারেল ম্যানেজার লক্ষ্মী গোবিন্দ দাস।
No comments