কবিতার জন্য লড়াই, বাচিক শিল্পের জন্য লড়াই এই জেলার এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে সম্পূর্ণ নিঃশুল্কভাবে শেখাচ্ছে বিশ্বকলা কেন্দ্রঘড়ির কাঁটায় সকাল ১১ টা হলেই বাচিক শিল্পী শ্রী বিশ্বনাথ গোস্বামী ছুটে চলেছে নি:খরচায় স্কুলে স্কুলে প্…
কবিতার জন্য লড়াই, বাচিক শিল্পের জন্য লড়াই
এই জেলার এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে সম্পূর্ণ নিঃশুল্কভাবে শেখাচ্ছে বিশ্বকলা কেন্দ্র
ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১১ টা হলেই
বাচিক শিল্পী শ্রী বিশ্বনাথ গোস্বামী ছুটে চলেছে নি:খরচায় স্কুলে স্কুলে প্রশিক্ষণ দিতে, ছোট থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে সঞ্চালনা, অন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জয় লাভ এবং বর্তমানে কলকাতা ও জেলা জুড়েই আবৃত্তি ও সঞ্চালনায় দর্শকদের মন জয় করা খুব সহজ কথা ছিল না, মনের জোর উদ্যম এবং নিজেকে তৈরি করার সংকল্প ই বিশ্বনাথ কে শিখরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে শত অভাব ও টানাপোড়নের মধ্যেও,
তাই যে নিজেই অভাবকে সঙ্গে নিয়ে সংস্কৃতির জন্য লড়াই করেছে, সে চায় সুন্দরভাবে সকলের মধ্যে এই শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে তাইতো বর্তমান প্রজন্ম তথা
ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন দিশা দেখিয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা দিতে স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছে ।
সুন্দর কথা সুন্দর সুর মানুষের মনকে ছুঁয়ে যায়। আর তাই সবাই সুন্দরভাবে কথা বলতে চায়, সুন্দর কথা শুনতে চায়। ছোট বেলা থেকে যাতে ছেলেমেয়েরা সুন্দরভাবে কথা বলতে শেখে,সেজন্য হয়তো অনেকেই চেষ্টা করেন সুন্দর কথা বলানোর জন্য। তবে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা শুধু সুন্দর করেই কথা বলেন না, তাদের কথা হয় শিল্প। হ্যাঁ,তারা বাচিক শিল্পী।
মহিষাদল *বিশ্ব কলা কেন্দ্রের* স্বপ্নের উদ্যোগ স্কুলে স্কুলে *বাচিক কর্মশালা ও ক্যুইজ*।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিটি ছেলে-মেয়ে তথা সকল ছাত্র-ছাত্রীদের, পড়াশুনাকে ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন ভাষা জ্ঞান, উচ্চারণ পদ্ধতি, বুদ্ধির বিকাশ,আত্ম বিকাশ, নিজের প্রতিভার প্রকাশ, পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি,শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ, আবৃত্তি, মাইক্রোফোনের ব্যবহার, সঞ্চালনা, শ্রুতি নাটক ও পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত সাধারন জ্ঞান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে -প্রতিটি স্কুলের প্রাথমিক বিভাগ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ শিবির অবিরত করে চলেছে বিশ্ব কলা কেন্দ্র।
সংস্থাটি ২০১০ সালে স্থাপিত হয়ে সারা বছর ধরে - শিল্প-সংস্কৃতি, সমাজসেবা, পরিবেশ সচেতনতা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর সারা জেলা জুড়েই কাজ করার চেষ্টা করে চলেছে, এবং গ্রামেগঞ্জে আবৃত্তি, অংকন, সঞ্চালনা ইত্যাদি বিষয় ৩ থেকে ৬৩ বছর বয়স পর্যন্ত সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে।
স্কুলে স্কুলে বাচিক নিঃশুল্ক ভাবে বাচিক শিল্পের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বিশ্ব কলা কেন্দ্রের সম্পাদক,জনপ্রিয় সঞ্চালক,বাচিক শিল্পী শ্রী বিশ্বনাথ গোস্বামী, কুইজের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সন্দীপন, চিন্ময়, বিপ্লব, সন্তু, বাপ্টু, প্রদীপ, সন্দীপ এবং বিশ্ব কলা কেন্দ্রের সদস্যগন। ইতিমধ্যেই এই কর্মশালা যে স্কুলে গুলিতে সম্পন্ন হয়েছে
*হরিখালী বসন্তকুমার বাণী মন্দির (হাই স্কুল)*
*দক্ষিণ কাশিমনগর হাই স্কুল*
*তাজপুর বিদ্যাসাগর আশ্রম কুঠি*,*টাঠারিবাড় বালিকা বিদ্যামন্দির*, *রাজারামপুর নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়*,*প্রণবানন্দ প্রাথমিক বিদ্যামন্দির*,*দ্বারিবেড়িয়া আদর্শ শিক্ষা সদন হাইস্কুল*,*রাজচক নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়*, *মধ্যহিংলি হাই স্কুল*, *চক গাজীপুর মাশুড়িয়া জুনিয়ার হাই স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়*, *নাটশাল হাই স্কুল*, *পূর্ব শ্রীরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়*, *তেরপেখ্যা স্টেট প্লান প্রাথমিক বিদ্যালয়*, *তালুক কমলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়*, *ঘাসিপুর বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির হাই স্কুল*, *কেশবপুর ভবতারণ বাণীমন্দির হাই স্কুল* *অমৃতবেড়িয়া তিলোত্তমা গার্লস হাই স্কুল* *শ্রীকৃষ্ণপুর হাই স্কুল* ইত্যাদি ইত্যাদি । স্কুল থেকে স্কুলে ছুটে চলেছে বিশ্ব কলা কেন্দ্রের সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীগন।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কথা বলার শিল্পের নজিরবিহীন সাড়া পড়েছে।
সংস্থার সম্পাদক,আবৃত্তি শিল্পী বিশ্বনাথ গোস্বামী বলেন- " আমরা সারা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সমস্ত বিদ্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ দেবো, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে,ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করার জন্য যোগাযোগ করে চলেছেন, এবং আমাদের তালিকাতে অসংখ্য স্কুল রয়েছে যেখানে ক্রমান্বয়ে আমরা প্রশিক্ষণ দিতে ছুটে চলেছি "
ইতিমধ্যেই ২০-টির বেশি স্কুলে এই কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে প্রতিটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা নিঃশুল্কভাবে কথা বলা শিল্প সেখানে সুবর্ণ সুযোগ হাতের কাছে পেয়ে খুবই আনন্দিত।
No comments