Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি!গৃহশিক্ষক অপহরণ

৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি!গৃহশিক্ষক অপহরণ হলদিয়ার সিটিসেন্টার সংলগ্ন গান্ধীনগর থেকে এক গৃহশিক্ষককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণকারীরা গৃহশিক্ষকের পরিবারের কাছে ৮লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। হোড়খালি পঞ্চায়েতের দুণ্ডিপুর এলাকার…

 


৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি!গৃহশিক্ষক অপহরণ 

হলদিয়ার সিটিসেন্টার সংলগ্ন গান্ধীনগর থেকে এক গৃহশিক্ষককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণকারীরা গৃহশিক্ষকের পরিবারের কাছে ৮লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। হোড়খালি পঞ্চায়েতের দুণ্ডিপুর এলাকার এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে সুতাহাটা থানায়। অপহরণের পর গত  ৩সেপ্টেম্বর থেকে ১০ দিন ধরে নিখোঁজ ওই গৃহশিক্ষক।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহৃত গৃহশিক্ষকের নাম ভক্তিরাম মাইতি। তিনি হলদিয়া থানা এলাকায় গান্ধীনগরে সি-ব্লকে জহর ঘোড়াইয়ের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। ৩সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর নাগাদ তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই গৃহশিক্ষক সুতাহাটার সৌমিত্র পাত্র নামে এক যুবকের কাছ থেকে আট লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই টাকা ফেরত চেয়েই গৃহশিক্ষককে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিসের। 

গৃহশিক্ষকের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমা থানার দুর্গা গোবিন্দপুরে। তিনি প্রায় ২০বছর হলদিয়ায় রয়েছেন। স্ত্রী সাবিত্রীদেবী দুই ছেলেকে নিয়ে পাথরপ্রতিমায় থাকেন। গৃহশিক্ষকের স্ত্রী এদিন ফোনে বলেন, মাঝেমাঝে অপহরণকারীরা স্বামীকে ফোনে কথা বলতে দিচ্ছে। ওরা দ্রুত টাকা জোগাড় করতে নির্দেশ দিচ্ছে। আমার স্বামীকে ওরা ব্যাপক মারধর করছে। টাকা না পেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। গত দু'দিন ধরে ফোনের সুইচ অফ। তারপরই থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হই। প্রথমে ওরা সুতাহাটা বাজার এলাকায় আটকে রেখেছিল বলে জানতে পারি। গৃহশিক্ষকের স্ত্রী স্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী চাকরি দেওয়ার নাম করে কিছু টাকা নিয়েছিল। চাকরি করে দিতে না পারায় সেই টাকা ফেরত দেওয়ার  অভিযোগ। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

পুলিসের তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হওয়ার পরই ওই যুবকের সুতাহাটার বাড়ি ও দুর্গাচকে পানা এলাকায় তার মামাবাড়িতে অভিযান চালিয়েছি। ওই যুবক তার

মামাবাড়িতেই থাকত। মামা জমি বিক্রি করে ভাগ্নেকে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন। যুবকের মামা একথা জানিয়েছেন। সেখান থেকেই পুলিস জানতে পারে টাকা উদ্ধারের জন্য অপহরণের নাটক চলছে। ওই গৃহশিক্ষক মাস ছয়েক আগে যুবকের বাড়ি গিয়ে কথা দিয়ে এসেছিলেন টাকা ফেরতের। তারপরও টাকা না পেয়ে এভাবে অপহরণের ছক কষে হলদিয়া এলাকার কোথাও গৃহশিক্ষককে লুকিয়ে রাখা হতে পারে বলে মনে করছে পুলিস। সুতাহাটা থানার ওসি অভিজৎ পাত্র বলেন, তদন্ত চলছে। যত দ্রুত সম্ভব পুলিস গৃহশিক্ষককে উদ্ধার করা হবে।

No comments