অযোগ্যদের দায়িত্ব, জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভকারখানার শ্রমিক কমিটির নাম ঘোষণা করতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের সাংগঠনিক সভাপতি। গোপন বোঝাপড়া করে অযোগ্যদের হাতে নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযো…
অযোগ্যদের দায়িত্ব, জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ
কারখানার শ্রমিক কমিটির নাম ঘোষণা করতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের সাংগঠনিক সভাপতি। গোপন বোঝাপড়া করে অযোগ্যদের হাতে নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ শ্রমিকদের একাংশের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হলদিয়ার সুতাহাটার একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপক সংস্থার ঘটনা। বুধবার বিকেলে কারখানায় শ্রমিক সংগঠনের তমলুক জেলা সাংগঠনিক সভাপতি চন্দন দে কারখানায় শ্রমিকক নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করতে এসে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, যারা কোনওকালে সংগঠন করত না, তাদেরই নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নেতাদের সামনে পেয়ে শ্রমিকরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ করেন। অভিযোগ, আগে এই কারখানার শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন মূলত তাঁরাই এই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। নতুন যাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তারা এই সংগঠনের সঙ্গে কোনওকালেই যুক্ত ছিলেন না,তাদের নেতৃত্ব ভার দেওয়া হয়েছে। এদিন বিক্ষোভ এমন অবস্থায় পৌঁছয় যে কমিটির নতুন সদস্য আছেন। এবং পুরনো সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়। তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি চন্দন দে এদিন কারখানায় আসতেই শ্রমিকরা তাঁকতে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন।
উল্লেখ্য, এই কারখানায় যুগ্ম সম্পাদক পদে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমীরণ মান্না এবং শেখ মোবারককে। নেতৃত্বের ঘোষণা বেশ কিছুদিন আগেই করেছিল জেলা নেতৃত্ব। সমীরণ বলেন, শ্রমিকেরা চিন্তিত নয়।” তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। তবে আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। এখনও কাজ করার সুযোগ পাইনি। একটু উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে জেলা সভাপতির মধ্যস্থতায় তা মিটে গিয়েছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, "সংগঠনের নেতারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, শ্রমিকদের মতামত নিয়ে নেতৃত্ব ঠিক হবে। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে নেতাদের মনোনীত লোকরাই দায়িত্ব পাচ্ছে। কীসের বিনিময়ে দায়িত্ব বণ্টন করা হচ্ছে তা বুঝতে পারছে শ্রমিকরা। সে জন্যই জেলা নেতৃত্বকে সামনে পেয়েই বিক্ষোভ দেখিয়েছে শ্রমিকরা।” তমলুক জেলা ডেভেলপমেন্ট লাভের বিনিময় সাংগঠনিক সভাপতি চন্দন দে’কেএই বিষয়ে ফোন করা হলে বলা হয় তিনি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ব্যস্ত গেরুয়া শিবিরের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘের (বিএমএস ) রাজ্য সহ-সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলেন, “এটা শাসক দলের দু'পক্ষের মধ্যে পকেট ভরানোর সমস্যা। শাসক দলের নেতারা জানেন কারখানা মানেই সেখানে অনেক মধু আছে। সে জন্য ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা তৈরি হয়েছে। এরা শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে কখনওই।
No comments