পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুনানি চলছে নন্দীগ্রাম প্রিসাইডিং অফিসারের কাজে ক্ষুব্ধ বিচারপতিপ্রশাসনের ব্যাখ্যায় তাজ্জব হাইকোর্টগণনা কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল সংখ্যক ব্যালট পেপার। বাঁকুড়ার বড়জোড়ার এই ঘটনায় এসডিও এবং বিডিও-কে …
পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুনানি চলছে নন্দীগ্রাম প্রিসাইডিং অফিসারের কাজে ক্ষুব্ধ বিচারপতি
প্রশাসনের ব্যাখ্যায় তাজ্জব হাইকোর্ট
গণনা কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল সংখ্যক ব্যালট পেপার। বাঁকুড়ার বড়জোড়ার এই ঘটনায় এসডিও এবং বিডিও-কে তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ব্যালটগুলি উদ্ধার নিয়ে এসডিও এবং বিডিও মঙ্গলবার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এদিন তাঁরা জানিয়েছেন, গণনার পর একটি ব্যালট বাক্স সিলিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়নি। সেটি সেখানেই পড়েছিল। পরে সেটি বাইরে চলে যায়। এই ব্যাখ্যা শুনে বিচারপতি সিনহা বলেন, 'একটি আস্ত ব্যালট বাক্স পড়ে রইল, একমাস ধরে আপানারা খোঁজ নিলেন না, আপনাদের কাজের কোনও পদ্ধতি নেই! মামলা দায়েরের পর আপনাদের টনক নড়ল?' মামলা দায়ের পর ওই ব্যালট বাক্স উধাও হওয়া নিয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে শুনেও রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি সিনহা। আর ব্যালট বাক্সটি কোথায় গেল, তা নিয়ে পুলিসের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি।
অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম-৩ গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি আসনে সমস্ত ভোট বাতিলের অভিযোগ উঠেছিল।
প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর না- থাকায় ওই আসনে ৮৯৮টি ভোট বাতিল হয়ে যায়। শেষে ইডি ভোটে জয়ী হন সিপিএম প্রার্থী। ব্যবধান ছিল মাত্র ৩ ভোটের। এই ঘটনায় প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাজিরা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এমন কী করে হল তিনি জানেন না। প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, “আমি প্রথমবারের জন্য প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছি। নন্দীগ্রাম ছিল গোলমেলে জায়গা। সহকর্মীদের থেকে সাহায্য পাইনি।' যদিও কীভাবে এতগুলি ব্যালট স্বাক্ষর ও সিল ছাড়াই রয়ে গেল, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ওই প্রিসাইডিং অফিসার। আপাতত তাঁকে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
No comments