Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বহন করতে পারছে না এইচডি এ

রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বহন করতে পারছে না এইচডি এ
একে ভাঁড়ে মা ভবানী। তায় শিল্পকেন্দ্র নামক এক বিশাল পরিকাঠামোকে পোষা! হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' অবস্থা। ২০১৩ সালে প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ করে 'স…

 




রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বহন করতে পারছে না এইচডি এ

 


একে ভাঁড়ে মা ভবানী। তায় শিল্পকেন্দ্র নামক এক বিশাল পরিকাঠামোকে পোষা! হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' অবস্থা। ২০১৩ সালে প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ করে 'সতীশ সামস্ত ট্রেড সেন্টার' তৈরি করেছিল হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ভাবনা ছিল শিল্পশহরের বিভিন্ন শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁদের প্রশিক্ষণ, সেমিনার ইত্যাদি ছাড়াও বিভিন্ন বিনোদনমূলক প্রয়োজনে এই শিল্পকেন্দ্র ব্যবহার করবে। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রয়োজনে, মেলা- উৎসব ইত্যাদি কাজেও ব্যবহৃত হবে ওই শিল্পকেন্দ্র। এর জন্য ভাড়া বাবদ পাওয়া টাকা থেকে ট্রেড সেন্টার বা শিল্পকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বাবদ খরচ মেটানো হবে।

বস্তুত সেই শিল্পকেন্দ্রই এখন কার্যত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই ট্রেড সেন্টার যে কারণে নির্মিত হয়েছিল সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি। যেমনটি ভাবা হয়েছিল তেমন করে চাহিদা তৈরি হয়নি। ফলে ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভব হচ্ছে না।” অন্যদিকে বিশাল সংখ্যক কর্মীদের বেতন দিতে কালঘাম ছুটছে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের।

হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক বলেন, “মূলত, শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলির কথা মাথায়

রেখেই কয়েক একর জায়গার ওপর ট্রেড সেন্টারটি নির্মাণ হয়। একটি প্রেক্ষাগৃহ, একটি মুক্ত প্ৰেক্ষাগৃহ, ব্যাঙ্কোয়েট, প্রদর্শনী কাম ব্যবসার জন্য একাধিক পরিকাঠামো, উদ্যান ইত্যাদি রয়েছে এই ট্রেড সেন্টারে। রয়েছে ৫০ জনের মতো কর্মী। যাঁদের বেতন বাবদ মাসে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুৎ ও অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচ।মোটের উপর বাৎসরিক খরচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু সেই পরিমাণ আয় নেই। ফলে বিশাল টাকার ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। যে কারণে আমরা বহু জরুরি পরিষেবা দিতে পারছি না।”

কেন ট্রেড সেন্টারের লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে না? উত্তরে ওই আধিকারিক বলেন, “প্রথমত, সরকারি অথবা বেসরকারি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর এই ধরনের নিজস্ব পরিকাঠামো রয়েছে। অন্যদিকে, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে নতুন করে বিনিয়োগ নেই। দ্বিতীয়ত, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয়ভার চেপে বসেছে। এখন চাইলেও অতিরিক্ত কর্মীদের বাদ দেওয়া


হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি জ্যোতির্ময় কর বলেন, “ট্রেড সেন্টারের রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী। কর্তৃপক্ষ নতুনভাবে শুরু করতে চলেছে। যেখানে ব্যয় সংকোচ করে আয় বৃদ্ধি করা যায়।”

No comments