তমলুক মহকুমার নিকাশী খালে কচুরিপানা সংস্কারে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ
অবশেষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সেচ দপ্তরের তমলুক ডিভিশন এলাকার ১১টি নিকাশী খালে জমে থাকা কচুরিপানা সহ জঞ্জাল পরিস্কা…
তমলুক মহকুমার নিকাশী খালে কচুরিপানা সংস্কারে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ
অবশেষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সেচ দপ্তরের তমলুক ডিভিশন এলাকার ১১টি নিকাশী খালে জমে থাকা কচুরিপানা সহ জঞ্জাল পরিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিল বিভাগীয় দপ্তর। যে গুরুত্বপূর্ণ খালগুলি পরিস্কার করা হবে তা হল-সোয়াদিঘী,দেহাটী,টোপা,টোপা-ড্রেনেজ,খড়িচক,মুড়াইল,জয়গোপাল,শঙ্করআড়া প্রভৃতি খাল। এজন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষে এ ব্যাপারে অ্যাপ্রুভ্যাল এসেছে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। চলতি সপ্তাহে এ ব্যাপারে স্কীম জমা দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এস ডি ও দের। স্কীম জমা পড়লেই টেন্ডার নোটিশ করে শীঘ্রই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে। সব ঠিক ঠাক হলে আগষ্টেই কাজ শুরু হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে নিকাশী খালগুলি সংস্কার না হওয়ায় খালগুলিতে কচুরীপানা সহ নানা ধরনের আবর্জনা জমে জলনিকাশী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলস্বরূপ সামান্য বৃষ্টিতেই জলনিকাশী না হওয়ায় এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় বর্ষার পূর্বেই নিকাশী খালগুলিতে জমে থাকা কচুরিপানা,বনসৃজনের পড়ে থাকা গাছ সহ জঞ্জাল - আবর্জনা পরিস্কারের দাবীতে জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সেচ দপ্তরের একজিকিউটিভ ও সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার এবং জেলা শাসককে একাধিকবার ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, অনেক দেরীতে হলেও সেচ দপ্তর খালে জমে থাকা কচুরিপানা পরিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত তা কার্যকর করতে হবে। তবে তমলুক ডিভিশন এলাকায় ১১ টি নিকাশী খালের কচুরিপানা পরিস্কার করা হলেও দেনান,চাপদা-গাজই,গঙ্গাখালি প্রভৃতি খালগুলি ওই প্রকল্পে না ধরায় নারায়নবাবু তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন।
No comments