নন্দীগ্রামে স্টেশন পরিদর্শনে রেলের আধিকারিকনন্দীগ্রাম থেকে দেশপ্রাণ স্টেশন পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। নন্দীগ্রাম থেকেই এই কাজ শুরু হবে। বুধবার ২ রা আগস্ট প্রস্তাবিত নন্দীগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পরিদর্শনে এসে একথা জানাল…
নন্দীগ্রামে স্টেশন পরিদর্শনে রেলের আধিকারিক
নন্দীগ্রাম থেকে দেশপ্রাণ স্টেশন পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। নন্দীগ্রাম থেকেই এই কাজ শুরু হবে। বুধবার ২ রা আগস্ট প্রস্তাবিত নন্দীগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পরিদর্শনে এসে একথা জানালেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার মিশ্র। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের ডিআরএম কেআর চৌধুরী। এদিন সেলু কারে জেনারেল ম্যানেজার দেশপ্রাণ স্টেশনে আসেন। সেখান থেকে আরপিএফের সুরক্ষা বলয়ে সড়কপথে পৌঁছন নন্দীগ্রাম বটতলা এলাকায়। সেখানেই নন্দীগ্রাম স্টেশন তৈরির কাজ হচ্ছিল। সেই কাজ অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পর ১২ বছর ধরে পড়ে রয়েছে। বুধবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে জেনারেল ম্যানেজার বলেন, এখানে রেললাইন হলে এলাকাবাসীর সুবিধা হবে। নন্দীগ্রাম থেকে দেশপ্রাণ পর্যন্ত সাড়ে ১৮ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ করতে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা এজেন্সি নিয়োগ করেছি। দ্রুত কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামকে রেল মানচিত্রে স্থান দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাজেটে নন্দীগ্রাম- দেশপ্রাণ রেলপথের ঘোষণা করেন। তারপর ২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম-দেশপ্রাণ নতুন রেল লাইনের কাজের শুভ সূচনা করেন। প্রস্তাবিত এলাকায় জমি অধিগ্রহণ হয়। জমি মালিকদের বেশ কয়েকজন রেলে চাকরি পান। আবার নিয়োগপত্র না পাওয়ার তালিকাও দীর্ঘ। এনডিএ সরকার তৈরি হওয়ার পর ওই প্রকল্প ঠান্ডা ঘরে চলে যায়। এক যুগ ধরে টালবাহনার পর অবশেষে লাইনের কাজ হবে বলে আশ্বস্ত করলেন সাউথ-ইস্টার্ন রেলের জেনারেল ম্যানেজার। নন্দীগ্রাম থেকে জেনারেল ম্যানেজার সহ রেলের অফিসাররা দীঘায় গিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাত ৯টা নাগাদ সেলু কার দীঘা থেকে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়।
No comments