Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভাইরাল স্কুলের গণিতের প্রশ্নপত্রে শুভেন্দু নওশাদ আঁতাত বিতর্ক

ভাইরাল স্কুলের গণিতের প্রশ্নপত্রে শুভেন্দু নওশাদ আঁতাত বিতর্কপঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক বিরোধী মুখ হিসেবে দেখা গিয়েছিল নন্দীগ্রামের শুভেন্দু অধিকারী ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীকে। তৃনমূলের  পক্ষ থেকে ‌দুজনের মধ্যে…

 




ভাইরাল স্কুলের গণিতের প্রশ্নপত্রে শুভেন্দু নওশাদ আঁতাত বিতর্ক

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক বিরোধী মুখ হিসেবে দেখা গিয়েছিল নন্দীগ্রামের শুভেন্দু অধিকারী ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীকে। তৃনমূলের  পক্ষ থেকে ‌দুজনের মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগও তোলা হয়। রাজনীতির বাইরে গিয়ে এবার শুভেন্দু ও নওসাদের যৌথ ব্যবসা প্রসঙ্গ উঠে আসতে দেখা গেল দশম শ্রেণীর গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রে। পাটিগণিতের লাভ ক্ষতির অঙ্কের ১ নম্বরের এই সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরে পড়ুয়াদের কাছে শুভেন্দুর ক্ষতির পরিমাণ ‌জানতে চাওয়া হয়েছে যা কিনা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের প্রতি কটাক্ষ বলেই মনে করছেন অনেকে। সমাজের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও এই প্রশ্নে কারুরই পদবী উল্লেখ করা হয়নি। রাজনীতি মহলের ব্যাখ্যা, বিজেপি ও আইএসএফের  জোট  হলে তার ফল কি খারাপ হবে তাই কি বোঝানো হয়েছে প্রশ্নপত্রে? 

 ভাইরাল হওয়া প্রশ্ন কর তে স্কুলের নাম লেখা হয়েছে মহেশপুর হাইস্কুল। নন্দীগ্রাম১  ব্লকে  গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে মহেশপুর হাই স্কুল নামে একটি স্কুল আছে।  ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রে দশম শ্রেণীর গণিতের প্রশ্নের শুভেন্দু এবং নওশাদের নাম দিয়ে একটি অংক কষতে দেওয়া হয়েছে। যদিও সেখানে দুটি নামের ক্ষেত্রেই পদবী ব্যবহার করা হয়নি। প্রশ্নপত্রে উল্লেখ আছে , শুভেন্দু ও নওশাদ যথাক্রমে ১৫০০ ও ১০০০ টাকা দিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করে। এক বছর পরে ব্যবসায় ৭৫ টাকা ক্ষতি হলে শুভেন্দুর ক্ষতি হয়- (৪৫টাকা/৩০টাকা/২৫টাকা/৪০টাকা)। 

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে  এই প্রশ্নপত্রটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জমা দিলেও এখনো পর্যন্ত এই প্রশ্নপত্রের ওপর কোনো পরীক্ষা হয়নি। প্রশ্নপত্র টি এভাবেই করা হয়েছে বলে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। যদিও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দুই শিক্ষক এই প্রশ্নপত্রটি তাদের করা প্রশ্নপত্র নয় বলে, সাফ জানিয়ে দেন।

মহেশপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ দাস বলেন, এই প্রশ্নপত্র আমার স্কুলের। অনিচ্ছাকৃত  ত্রুটি। এখন ও  পরীক্ষা হয়নি। প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করা হবে।২ জন শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।"

মহেশপুর হাই স্কুলের গণিত শিক্ষক রাজিব বলেন, প্রধান শিক্ষক যে প্রশ্নপত্র আমায় দিয়েছেন তা আমাদের স্কুলের নয়। আমি যে প্রশ্নপত্র তৈরি করে জমা দিয়েছি স্কুলে তার সাথে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের কোন মিল নেই।" তৃণমূলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ বলেন, রাজনীতির ময়দানটা পুরোপুরি আলাদা। স্কুলের প্রশ্নপত্রের সাথে রাজনীতির কোনো মিল থাকুক তা কাম্য নয়। যে বা যারাই করুক এটা করা উচিত হয়নি।"

বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মন্ডল কে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

No comments