Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সাইবার প্রতারণায় আড়াই লক্ষ টাকা খোয়ালেন দুই ব্যক্তি

সাইবার প্রতারণায় আড়াই লক্ষ টাকা খোয়ালেন দুই ব্যক্তি
 হলদিয়ায় জোড়া সাইবার প্রতারণার ঘটনায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খোয়ালেন দুই ব্যক্তি। এদের মধ্যে একজন আবার ভিন রাজ্যের বাসিন্দা এবং হলদিয়া আইওসি রিফাইনারি আবাসনে থাকেন। রাষ্ট…

 




সাইবার প্রতারণায় আড়াই লক্ষ টাকা খোয়ালেন দুই ব্যক্তি


 হলদিয়ায় জোড়া সাইবার প্রতারণার ঘটনায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খোয়ালেন দুই ব্যক্তি। এদের মধ্যে একজন আবার ভিন রাজ্যের বাসিন্দা এবং হলদিয়া আইওসি রিফাইনারি আবাসনে থাকেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে নতুন এটিএম কার্ড তৈরির অছিলায় এক ব্যক্তির ১ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারকদের বিরুদ্ধে। ব্যাঙ্কের দু'টি সেভিংস অ্যাকাউন্টের টাকা খুইয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। অন্যদিকে, আত্মীয়ের দুর্ঘটনার গল্প ফেঁদে ভিন রাজ্যের ওই বাসিন্দাকে ফাঁদে ফেলে ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সাইবার প্রতারকরা।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার রায়রাক্র্যাচকের বাসিন্দা সুখেন দাস সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে তিন দফায় ১ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা খুইয়েছেন বলে হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্টেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে।

সুখেনবাবুকে এটিএম কার্ড ভেরিফিকেশনের জন্য ফোন করেন এক ব্যক্তি। কোনও এটিএম কার্ড নেই জানানোর পর ভুয়ো পরিচয় দেওয়া ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁকে আধঘণ্টার মধ্যে নতুন এটিএম তৈরি করে। দেওয়া হবে বলে জানায়। এজন্য ব্যাঙ্কের আইএফসিএস কোড নম্বর চায়। সুখেনের অভিযোগ, আইএফসিএস কোড নম্বর পাঠানোর আধ ঘণ্টা পর সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ আসে। তাঁর দুটি ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬২২ টাকা এবং একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। সাইবার প্রতারকরা। সুখেন বলেন, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সহযোগিতা করছেন না বলে হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

এদিকে, মুকেশ যাদব নামে উত্তরপ্রদেশের মৌ জেলার করণপুরের এক বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারকরা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে হলদিয়াথানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মুকেশ হলদিয়ার টাউনশিপে আইওসি রিফাইনারি আবাসনের ক্লাস্টার সেভেনটিনে থাকেন। তাঁর স্ত্রীর কাকার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি মুকেশকে ফোন করে। দুর্ঘটনার গল্প ফাঁদেন। ওই ব্যক্তির বাবা দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এজন্য ১ লক্ষ টাকা দরকার অপারেশনের জন্য। ইউপিআই লেনদেন পদ্ধতিতে ওই টাকা দ্রুত পাঠাতে বলেন। মুকেশ চার দফায় ৭৫ হাজার টাকা পাঠানোর পর বুঝতে পারেন তিনি সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। পরে ওই ফোন নম্বরে ফোন করে সুইচড অফ পান। পুলিস জানিয়েছে, দুটি ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। সাইবার প্রতারকদের নিয়ে পুলিস সচেতনতা শিবির শুরু করেছে। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের মধ্যে হলদিয়া থানা এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শিল্প সংস্থার চাকুরে, অফিসার, ইঞ্জিনিয়াররা এই প্রতারকদের মূল টার্গেট।

No comments