পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চাঁদের কক্ষে পা রাখছে চন্দ্রযান ৩পৃথিবীর টান কাটিয়ে এবার চাঁদের পথে যাত্রা করতে প্রস্তুত তৃতীয় চন্দ্রযান। মাহেন্দ্রক্ষণ সোমবার ৩১ শে জুলাই রাতেই। রাত বারোটা থেকে রাত একটার মধ্যে ইসরোর চন্দ্রাভিমুখী যান প্র…
পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চাঁদের কক্ষে পা রাখছে চন্দ্রযান ৩
পৃথিবীর টান কাটিয়ে এবার চাঁদের পথে যাত্রা করতে প্রস্তুত তৃতীয় চন্দ্রযান। মাহেন্দ্রক্ষণ সোমবার ৩১ শে জুলাই রাতেই। রাত বারোটা থেকে রাত একটার মধ্যে ইসরোর চন্দ্রাভিমুখী যান প্রবেশ করবে ট্রান্স লুনার ইনজেকশন' মোডে। প্রোপালসন মডিউলের ইঞ্জিন উঠবে জ্বলে, তৈরি হবে অকল্পনীয়, দুর্দান্ত বেগ। আর সেই বিপুল বেগের অভিঘাতেই তৃতীয় চন্দ্রযান ঢুকে পড়বে চাঁদের কক্ষপথে। প্রদক্ষিণ করতে করতেই নির্দিষ্ট সময়ে সে অবতরণ করবে চন্দ্রপৃষ্ঠে। ইসরোর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
গত ১৫ দিন ধরে এই মহাকাশযান চক্কর কাটছিল মহাশূন্যে, বা বলা ভাল, পৃথিবীর পঞ্চম কক্ষপথ সংলগ্ন এলাকায়। এই নিয়ে পাঁচ বার তার পৃথিবীকে পরিক্রমা হয়ে গিয়েছে। পঞ্চম ধাপটিও সে পেরিয়ে গিয়েছে দিন কয়েক আগেই। কিন্তু চাঁদের
কক্ষপথ পর্যন্ত যেতে এবং অরবিটে প্রবেশ করতে দরকার ছিল টিএলআই। সোজা ভাষায় বলতে গেলে এক প্রকার 'প্রোপালসিভ ম্যানুয়েভর', যার মাধ্যমে একটি মহাকাশযানকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে (এই মিশনটিতে চাঁদের) প্রতিস্থাপন করা হয়, যাতে সেটি তার অভীষ্ট পথে
আরও এগিয়ে যেতে পারে। এর জন্য দরকার প্রবল উত্তাপ, যা তৈরি করা হয় কেমিক্যাল রকেট ইঞ্জিন ‘স্টার্ট' করে। ইঞ্জিন চালু হতেই রকেটের ভিতরের জ্বালানি জ্বলে উঠবে, বিপুল উত্তাপ থেকে তৈরি হবে বিপুল গতিবেগ। আর সেই বেগেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে চন্দ্রযান-৩। সোমবার মধ্যরাতেই ঘটবে এই ঘটনা। সময় লাগবে ২৮ থেকে ৩১ মিনিট।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রওনা দিয়েছিল তৃতীয় চন্দ্রযান। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত যাত্রার প্রতিটি ধাপ সে পেরিয়েছে সফলভাবে। তবে আজ রাতের ‘টিএলআই' সেই যাত্রাপথের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন ধাপ। তবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশা, এই ধাপটিও তৃতীয় চন্দ্রযান পেরিয়ে যাবে সাফল্যের সঙ্গেই।
No comments