আজ হলফনামা দেবে শিক্ষকরা! ১১ বছর চাকরি করার পর প্রায় চার হাজার শিক্ষক স্কুল পরিদর্শক অফিসে হলফনামা দেবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৩ ৯২৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে হলফনামা দিতে হবে। ২০০৯ সালে পরীক্ষায় বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল।
তার ভিত্তিতে ২০…
আজ হলফনামা দেবে শিক্ষকরা! ১১ বছর চাকরি করার পর প্রায় চার হাজার শিক্ষক স্কুল পরিদর্শক অফিসে হলফনামা দেবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৩ ৯২৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে হলফনামা দিতে হবে। ২০০৯ সালে পরীক্ষায় বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল।
তার ভিত্তিতে ২০১২ সালে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই নিয়োগ মামলা এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন এই অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে মুচলেখা সংগ্রহ করা হবে আজ ৩১ শে জুলাই সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের স্কুল পরিদর্শনের অফিস থেকে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হলফনামা ফর্ম ও নোটিশের কপি নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য সহ একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়া হাইকোর্টের বিচারাধীন আদালতের কাছে পর্ষদের দায়বদ্ধ রয়েছে সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকাদের জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এর প্রতিবাদ জানাই । জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সাংসদ সভাপতি বললেন ২০১২ সালের ২০১৬ সালে হাইকোর্টে একটি মামলা হয়েছিল। কারো আত্মীয় ইন্টারভিউ বলেছিলেন না বলে একটি ঘোষণা পত্র জমা দেওয়ার শর্ত ছিল কিন্তু পর সব থেকে সেটি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি এখন ফের বিষয়টি হাইকোর্ট চেয়েছে তাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে একটি চাওয়া হয়েছে কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা আত্মীয় ইন্টারভিউ পড়ে থাকলে তাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে শনিবার ২৯ শে জুলাই স্কুল শিক্ষা পর্ষদের অধিকার অফিসে আসেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সাংসদ সভাপতি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রাথমিক ৪৫টি চাকরি স্কুল পরিদর্শক এবং শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই মুচলেখা আদায় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তারপর রাতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সকল অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠান সেই চিঠিতেই বলা হয় ২০১২ সালে নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজের এলাকায় এসআই অফিস থেকে ৩১ শে জুলাই এবং নোটিশের কপি সংগ্রহ করবেন ।আর অবশ্যই লটারি পাবলিক কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে তা এফিডেভিট করতে হবে।
২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০১২ সালের সেই নিয়োগ হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৩৯২৪ জন সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়োগপত্র পান ১১ বছর চাকরি করার পর এখন তাদের মুচলেখা দিতে হবে । মুচলেখায় মুল তিনটি বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
২০১২ সালের যেসব শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ পেয়েছেন তারা ওই লেখা দিবেন দ্বিতীয়তঃ এক্সপার্টদের কেউই ওই শিক্ষক শিক্ষিকাদের আত্মীয় নন তা উল্লেখ করতে হবে। তৃতীয়তঃ এই তথ্য বেশি হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকার উপর বর্তাবে এর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা না থাকায় কারণে কয়েক দফায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট পর্ষদ প্রকাশিত তালিকা থেকে দেখা গিয়েছে গোটা রাজ্যের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই এই ধরনের নিয়োগ বেশি।
No comments