দেশের সেরা ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণার ডাক পেয়েছেন নন্দীগ্রামের শেক মহম্মদ জুলিয়ান
বরাবর নতুন কিছু করে দেখাবার জেদ তাঁকে পেয়ে বসে । তার বশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারি লাইনে রেজিস্ট্যান্স কমাতে অনেকাংশে সফল হয়েছেন তি…
দেশের সেরা ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণার ডাক পেয়েছেন নন্দীগ্রামের শেক মহম্মদ জুলিয়ান
বরাবর নতুন কিছু করে দেখাবার জেদ তাঁকে পেয়ে বসে । তার বশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারি লাইনে রেজিস্ট্যান্স কমাতে অনেকাংশে সফল হয়েছেন তিনি । ফলে বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয় ঘটবে । উপকৃত হবেন গ্রাহকরা । এমন একজন প্রতিশ্রুতিবান বিজ্ঞানের ছাত্র নন্দীগ্রামের রাজারামচকের বাসিন্দা শেক মহম্মদ জুলিয়ান । তাঁর পড়াশোনার জার্নিতেও একসঙ্গে দেশের সেরা ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণার ডাক পেয়েছেন । আর তাতেই রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে এলাকায় । বাড়ি বয়ে লোকজন দেখতে আসছেন । ভাসছেন সংবর্ধনার জোয়ারে ।
মেদিনীপুর কলেজের ছাত্র,পদার্থবিদ্যার একনিষ্ঠ ভক্ত জুলিয়ান চলতি বছরে জয়েন্ট অ্যাডমিশন ফর মাস্টার্স(জেএএম) পরীক্ষায় সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে ১০৫ র্যাঙ্ক করেছেন । তারপর থেকে তিনি উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় জন্য চেষ্টা চালান । আর তাতে দারুণ সাড়া পেয়েছেন । টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফাণ্ডামেন্টাল রিসার্চ,মুম্বাইয়ের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার,ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট আফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যাণ্ড রিসার্চ,আইআইটি মুম্বাই এবং বেঙ্গালুরুর ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স । ক্লাস রুমের পাঁচ মিশেলি পরিবেশ এড়িয়ে কলেজ হস্টেলের নিরিবিলি তাকে পড়াশোনায় বেশি সহযোগিতা করতো । তাই পড়াশোনার জন্য হস্টেলেই তাঁর বেশি সময় কেটেছে । কলেজের স্যাররা তা জানতেন । অতএব অ্যাটেনডেন্স পেতে তাঁর অসুবিধা হয়নি । বাস্তবে রেজাল্ট দেখিয়ে হস্টেল বন্দি থাকার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন । আর এমন প্রতিভাবানকে পড়াশোনা এবং গবেষণার সুযোগ দিতে হামলে পড়েছে দেশের সেরা গবেষণা কেন্দ্রগুলি । তবে সব কিছু ভেবে তিনি বেঙ্গালুরুর ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স(আইআইএসসি)-তে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । বাবা শেক মহম্মদ ফারুক গ্রামীন চিকিৎসক । সমাজসেবা তাঁর বড় নেশা । মা মাহফুজা খাতুন আশাকর্মী । সেই সঙ্গে টিউশান করেন । বাড়িতে চার ভাই-বোন । জুলিয়ান সবার ছোট । মেধাবী বলেই তাকে ঘিরেই পরিবারের বড় স্বপ্ন তৈরী হয় । মা টিউশানের পয়সায় ছেলের পড়ার খরচ জোগান দিয়েছেন । মায়ের পাশাপাশি তার কলেজের অধ্যাপিকা তনুশ্রী পাল এবং অধ্যাপক পার্থ সারথী দাস সহ অন্যান্য অধ্যাপকদের সহযোগিতা তাকে এগিয়ে দিয়েছে । পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণায় বিভোর ছাত্রটি বলেন,"বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে রেজিস্ট্যান্স কমানো এবং গ্রাহকদের তার সুবিধা দেওয়া আমার প্রধানতম উদ্দেশ্য । সেটাই আমার গবেষণার মূল বিষয় ।" মেধাবী জুলিয়ানের সেই সাফল্যে মুখিয়ে তার গুনগ্রাহী থেকে এলাকার মানুষজন ।
No comments