বিজেপির দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি ২০১৮ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন শাসক দল তৃণমূল।পাঁচ বছর পরে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র, নির্বাচন আসন্ন ৮ জুলাই সার…
বিজেপির দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি ২০১৮ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন শাসক দল তৃণমূল।
পাঁচ বছর পরে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র, নির্বাচন আসন্ন ৮ জুলাই সারা জেলার নজর এখন সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির দিকে। শাসক দল তৃণমূল সাথে সাথে ইউএসএফ আইএসএফ সিপিআইএম এবং পিডিএস এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থী সবমিলিয়ে ভোটের ময়দান সুতাহাটা এখন উত্তপ্ত। প্রচারে এগিয়ে সমস্ত প্রার্থীরাই। ভোট প্রচারে মরিয়া সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা । দল টিকিট দেয়নি। তাই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসাবেই লড়ছেন বিজেপির জেলা কমিটির এক সদস্য। নিজেকে ‘পুরাতন' বিজেপি কর্মী এবং সংগঠন বাঁচানোর দাবি করে জোর প্রচারও চালাচ্ছেন এলাকায়। ভোট দোরগড়ায় এলেও গেরুয়া শিবিরে মেটেনি আদি-নব্য দ্বন্দ্ব।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আনন্দময় অধিকারী যোগ দিয়েছিলেন । আনন্দময় এবার বিজেপি'র সুতাহাটা ব্লকের ২৫ নম্বর আসনে জেলা পরিষদের প্রার্থী। এটি তাঁর আগের জেতা আসন। আর ওই আসনেই দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন বিজেপি নেতা ত্রিদিব কালসা। টেলিফোন প্রতীকে তিনি নির্দল হিসাবে লড়ছেন। ত্রিদিবের প্রচারের ব্যানারে দেখা যাচ্ছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইন — ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে,
তবে একলা চলো রে ...
নিজে কে পুরানো বিজেপি কর্মী হিসাবে দাবী করেছেন ।
ত্রিদিব কালসা বলছেন, “সেদিনও তৃনমূলের নেতা বলে পরিচিত এবং এখনও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, এমন ব্যক্তিকে প্রার্থী করায় দলের পুরানো কর্মীরা বসে গিয়েছিলেন। বিক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। বাধ্য হয়েই এগিয়ে আসতে হয়েছে আমাকেই।" ত্রিদিবের দাবি, প্রার্থী ঘোষণা করার পরই অনেকেই বলছিলেন, এ যেন দলের প্রতীকে তৃণমূলের কাউকে জেতানো। ওদের জন্যে বিজেপির সংগঠন নষ্ট হবে কেন! দলীয় কর্মীদের অধিকাংশই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এ ব্যাপার বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ত্রিদিব কালসা জেলা কমিটির সদস্য। তৃণমূলকে সুবিধা করার জন্য উনি দাঁড়িয়েছেন। ওঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য রাজ্যকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।" অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী আনন্দময় বলছেন, “দল আমাকে প্রার্থী করেছে। দলীয় প্রতীক দিয়েছে। প্রতীকই তবে একলা চলো রে'। ব্যানারে শেষ কথা।”
No comments