"মিউজিক্যাল ফাউন্টেন" বসতে চলেছে হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া সতীশ সামন্ত পার্কেবিনোদনের স্বাদ দিতেই "মিউজিক্যাল ফাউন্টেন" বসতে চলেছে হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া সতীশ সামন্ত পার্কে । সেই সঙ্গে হলদিয়া পুরসভার সামনে ভাষা উদ্য…
"মিউজিক্যাল ফাউন্টেন" বসতে চলেছে হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া সতীশ সামন্ত পার্কে
বিনোদনের স্বাদ দিতেই "মিউজিক্যাল ফাউন্টেন" বসতে চলেছে হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া সতীশ সামন্ত পার্কে । সেই সঙ্গে হলদিয়া পুরসভার সামনে ভাষা উদ্যানে বসছে "লাইট বোর্ড" । সুদৃশ্য করা হচ্ছে হলদি নদী পাড়ের বিদ্যাসাগর পার্ক । উদ্যোগে হলদিয়া পুরসভা ।
আম্ফান,ইয়াশের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের দাপটে সীমানা প্রাচীর,চেয়ার,বেঞ্চ ভাঙা । কোথাও ভাঙা মাথার ওপর কংক্রিটের ছাতা । বাচ্চাদের দোলনা,ঢেঁকি,স্লিপার কোথাও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে । এমন বেহাল অবস্থায় দীর্ঘদিন রয়েছে হলদিয়া পুরসভা পরিচালিত ২৪টি পার্ক । এবার সেই সমস্ত পার্কের হাল ফেরাতে জোর দিয়েছে হলদিয়া পুরসভা । ধাপে ধাপে পার্কগুলির সৌন্দর্যায়ন ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ । প্রথম ধাপে হলদি নদী পাড়ের বিদ্যাসাগর পার্কের হাল ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে । ভাঙা প্রাচীর,বেঞ্চ,চেয়ার সবই মেরামতের কাজ হচ্ছে । নদীর আকর্ষণে প্রতিদিন বহু মানুষের আনাগোনা এই নদী পাড়ে । নদীপাড়ে থাকা বিদ্যাসাগর পার্কে বড়দের পাশাপাশি ছোটদের ভিড় থাকে যথেষ্ট । হলদি আর হুগলি নদীর সংযোগস্থলে এই পার্কে বসে হলদিয়া বন্দরে জাহাজের আসা-যাওয়া দেখা যায় । পড়ন্ত বিকেলে অস্তমিত সূর্য,নদীতে মেছো নৌকার বিচরণ,ঢেউয়ের ছলাৎ ছল শব্দ,ফুরফুরে বাতাস সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ্য হয়ে ওঠে বিদ্যাসাগর পার্ক এবং সংলগ্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ । মানুষের বিনোদনের সেই জায়গার এবার সৌন্দর্যায়ন ঘটছে । হলদিয়ার সিটি সেন্টারে অবস্থিত পুরসভার গেটের ঠিক সামনে রয়েছে ভাষা উদ্যান । বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,নজরুল ইসলামের মতো মণীষীদের মূর্তী দিয়ে সাজানো ভাষা উদ্যান । সেখানে বাংলাদেশের ঢাকায় থাকা বাংলা ভাষা আন্দোলনের শহিদ স্মারকের আদলে প্রতিষ্ঠিত শহিদ স্মারক এই ভাষা উদ্যানের গৌরব । সেই উদ্যানের শ্রীবৃদ্ধির জন্য বসানো হচ্ছে "লাইট বোর্ড" । বোর্ডে "আই লাভ হলদিয়া" লেখা সহ বিভিন্ন সংলাপ,মণীষীদের বাণী পড়ার সুযোগ থাকছে । এই সৌন্দর্যায়ন পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে হাতিবেড়িয়ার সতীশ সামন্ত পার্ক । প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তের নামে এই পার্ক বেশ সাজানো গোছানো থাকে । প্রশস্ত জায়গা । কলকাতার ইকোপার্কের আদলে সেখানে গড়ে উঠছে "মিউজিক্যাল ফাউন্টেন" বা "সাঙ্গীতিক ঝর্ণা"। রঙিন আলো,সুরের জাদুর সঙ্গে ঝর্ণার ছন্দময় নাচ দেখা যাবে এই পার্কে । বিনা খরচে নাগরিকদের প্রবেশ অবাধ । হলদিয়া মহকুমাশাসক,তথা পুর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান,"নাগরিক পরিষেবায় পার্কগুলির সৌন্দর্যায়ন ঘটানো হচ্ছে । লাইট অ্যাণ্ড সাউণ্ড,তার সঙ্গে ঝর্ণা দিয়ে সতীশ সামন্ত পার্ককে আকর্ষণীয় করা হচ্ছে । বিকেলে সময় কাটাবার পক্ষে বেশ ভালো লাগবে । ধাপে ধাপে অন্যান্য পার্কগুলি সুন্দর রূপ পাবে ।" প্রথম পর্বে তিনটি পার্কের সৌন্দর্যায়নে প্রায় ষাট লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে ।সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই বিনোদনের এমন নতুন উপহার পাবেন হলদিয়াবাসী । পুরসভা পরিচালিত সুতাহাটার সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনের পার্ক,দুর্গাচকের ছায়ানট লাগোয়া পার্ক,ক্ষুদিরামনগর পার্ক সহ অন্যান্য পার্কগুলিকে ধাপে ধাপে সাজানো হচ্ছে । জানান পুরসভার একজিকিউটিভ অফিসার তাপস মুখোপাধ্যায় ।
No comments