নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় উন্নয়নের ক্ষতি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় নন্দীগ্রামের ক্ষতি করেছে। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে এসে একথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি লক্ষ্মণ শেঠ। তিনি বলেন, ২০২১সালে বি…
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় উন্নয়নের ক্ষতি করেছে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় নন্দীগ্রামের ক্ষতি করেছে। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে এসে একথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি লক্ষ্মণ শেঠ। তিনি বলেন, ২০২১সালে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ে আপনারা হয়তো খুশি হয়েছেন, কিন্তু আমি মনে করি এই পরাজয় নন্দীগ্রামের উন্নয়নের ক্ষতি করেছে। তিনি জয়ী হলে পূর্ব মেদিনীপুর তথা নন্দীগ্রাম পেত একজন মুখ্যমন্ত্রী। আর কোনওদিন সেই সুযোগ নন্দীগ্রামের হবে কি না আমার জানা নেই। যদি নন্দীগ্রামের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী করে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী পেতেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আরও উন্নয়ন হত নন্দীগ্রামের বলে মনে করেন তিনি। নন্দীগ্রামের মানুষ সেই কৃতিত্ব নিতে পারল না। লক্ষ্মণবাবু বলেন, নন্দীগ্রাম মানেই কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস, তেভাগা আন্দোলনে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, সেখানে এখন বিজেপির মতো বিভেদকামী দল জিতছে, এটাই বিস্ময়ের। বিজেপি জেতার পর সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিন নন্দীগ্রামে গিয়ে তিনি উন্নয়নের লক্ষে ফের শিল্পায়নের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। ২০১৯সালে লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে শেষবার প্রচারে গিয়েছিলেন লক্ষ্মণবাবু। নন্দীগ্রামে কার্যত শূন্য হয়ে যাওয়া কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি হঠাৎ বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ কৌশলী কায়দায় টেনে আনায় নেতা কর্মীরাও এদিন খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে যান। তবে বিজেপির পাশাপাশি শিল্পায়ন নিয়ে তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনাও করেন লক্ষ্মণবাবু। এদিন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মানস করমহাপাত্র পঞ্চায়েত ভোটকে লক্ষ্য রেখে বুথ ভিত্তিক সংগঠন চাঙ্গা করে বেশি সংখ্যক প্রার্থী দেওয়ার উপর জোর দেন। তবে সম্মেলনে সিংহভাগ অঞ্চলই নামকেওয়াস্তে রিপোর্টিং করেছেন সংগঠন নিয়ে। কেউ কেউ আবার সম্মেলনেই জেলা নেতৃত্বের উপর প্রকাশ্যেই ক্ষোভ দেখান।
No comments