Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্যবসা করার নামে টাকা লুট গ্রেপ্তার ২

কলিকাতার খিদিরপুরে দুই বাসিন্দা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন মানুষের কাছে হোশিয়ারী দ্রব্য পাইকারি সাপ্লাই দেবে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। টাকা নেওয়ার পর তাদেরকে কোন জিনিস দেয়নি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম এবং দুর্গাচক …

 



কলিকাতার খিদিরপুরে দুই বাসিন্দা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন মানুষের কাছে হোশিয়ারী দ্রব্য পাইকারি সাপ্লাই দেবে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। টাকা নেওয়ার পর তাদেরকে কোন জিনিস দেয়নি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম এবং দুর্গাচক এলাকায় বহু বাসিন্দা হয়েছেন প্রতারণার শিকার। গত মে মাসে ওই দুই নামে অভিযোগ দায় হয় তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ১১ই জুন রবিবার নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আজ হলদিয়া মহকুমার আদালতে দুজনকে তুললে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিলেন।

 হলদিয়া বন্দর ঃ প্রায় দেড় কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ! হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের ২০জনের বেশি ব্যবসায়ী গত কয়েক মাসে সেই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ খুইয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত হয়েছেন। অবশেষে পুলিসের জালে ধরা পড়ল পিতা-পুত্র দুই ঠগ। ধৃত ওয়াজেদ আলি ও পুত্র সেকেন্দার আলিকে সোমবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৭দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এরা খিদিরপুরের মহেশতলা এলাকার বাসিন্দা হলেও নন্দীগ্রাম সদরের বাইপাশ রোডের পাশে সাফারি কমপ্লেক্সে ঘাঁটি গেড়েছিল। সেখানেই অফিস কাম রেসিডেন্স বানিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে হলদিয়া ও নন্দীগ্রাম জুড়ে। এদের নামে একের পর এক অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিসের চক্ষু চড়ক গাছ। তারপরই টনক নড়ে পুলিসের এবং রবিবার রাতে এদের গ্রেপ্তার করে নন্দীগ্রামের পুলিস। 


পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১মে নন্দীগ্রাম থানায় শেখ সাজাহান নামে এক ব্যবসায়ী পিতা ও পুত্রের বিরুদ্ধে ভুসিমাল ও রেনকোট সহ বিভিন্ন সামগ্রী সাপ্লাই দেওয়ার নাম করে কয়েক দফায়  ২৪লক্ষ টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি নন্দীগ্রামে এসে প্রথমে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে হোলসেলার এবং ট্রান্সপোর্টার হিসেবে পরিচয় দেয়। কমদামে বিভিন্ন মালপত্র সাপ্লাই দেওয়ার কথা বলে। প্রথমে বিশ্বাস অর্জনের জন্য তিন লক্ষ টাকার মালপত্র সাপ্লাই দেয়। কিছুমালের গুণগত মান দেখে পছন্দও হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় ২৪লক্ষ টাকা নিলেও মালপত্র দীর্ঘদিন সাপ্লাই দেয়নি। শুধু একজনের ক্ষেত্রে নয়, সব ব্যবসায়ীর সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটে। হলদিয়ার দুর্গাচকের বিরিয়ানি দোকানদার উত্তম হালদারও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, আমাকে বিরিয়ানির পাশাপাশি অন্য ব্যবসা চালু করার জন্য প্রলোভন দেখায়। কম দামে ছোলা, ডাল, মশলা, রেনকোট সাপ্লাই দেবে বলে কয়েক দফায় ৬লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই দেয়নি। এরকম প্রায় ২০জনের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকার বেশি প্রতারণা করেছে। হলদিয়া মহকুমা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ভিকে রাম বলেন, ওয়াজেদ আলি ও সেকেন্দর আলি নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে এদিন প্রতারণা মামলায় আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি থেকে এখন পর্যন্ত ৫০লক্ষ টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগ মিলেছে।

No comments