সানস্ট্রোক হয়ে মারা গেল চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া
মহিষাদল বাজারে স্টুডিও মোনালিসা ফটো দোকানে সানস্ট্রোক হয়ে মারা গেল চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এর তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারি এমবিবিএস …
সানস্ট্রোক হয়ে মারা গেল চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া
মহিষাদল বাজারে স্টুডিও মোনালিসা ফটো দোকানে সানস্ট্রোক হয়ে মারা গেল চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এর তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারি এমবিবিএস পড়ুয়া ছাত্র সৌম্য বাগ। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ২৩ বছর । বাবার নাম শুভাশিস বাগ। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার অন্তর্গত কল্যাণপুর গ্রামে। সৌম্য মহিষাদল রাজ হাই স্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিল। পঞ্চম শ্রেণি হইতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসেই সে প্রথম স্থান অধিকার করত। সৌম্যের কাকু উদয় শঙ্কর বাগ বলেন, কয়েকদিন আগে সৌম্যের ঠাকুরমা মারা গিয়েছেন। আজ সকালে সে তার বাবার সঙ্গে মহিষাদল বাজারে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছিল। বাবা একদিকে মহিষাদল বাজারে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য কিছু জিনিসপত্র দোকান থেকে কিনছেন। অন্যদিকে সৌম্য ঠাকুরমার জীবিত অবস্থায় একটি ছবি স্টুডিও মোনালিসাতে দেওয়া ছিল ।সেই ছবিটি আনার জন্য স্টুডিও মোনালিসাতে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। দোকানের মালিক ছুটে এসে তার চোখে মুখে জল দিয়ে তৎক্ষণাৎ টোটো ডেকে মহিষাদল বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। চিকিৎসকরা ডাক্তারি পড়ুয়া তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সৌম্য বাগ দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উদয় শঙ্কর বাবু আরও জানান, চলছে প্রচন্ড দাবদাহ । ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুর । সানস্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ দীর্ঘক্ষণ তাপবিদ্ধ হওয়া । সকাল ন'টায় সময় এক রকমের তাপমাত্রা । সেটা চারগুণ বেড়ে যায় বেলা বারোটার দিকে। এই সময় সূর্য রশ্মি আমাদের দেহের তাপমাত্রাকে অনেকটা বাড়িয়ে দেয় । অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে সেই হাইপোথ্যালামাসে সরাসরি প্রভাব পড়লেই হয় হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক । দেহ তাপমাত্রা ও স্বাভাবিক অবস্থায় পৌঁছয় ,বন্ধ হয়ে যেতে পারে ঘাম নিঃসরণও ।
শরীরে জলের অভাব এই অবস্থা ত্বরান্বিত করে। এমবিবিএস ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন হাসপাতালে গিয়ে তার মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য থানায় আনে। মহিষাদল থানায় একটি কেস তদন্তের জন্য রুজু হয়েছে । তদন্তের সাপেক্ষে মৃতদেহটিকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান মহিষাদল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রলয় কুমার চন্দ্র।
No comments