Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গেঁওয়াখালী জল প্রকল্পের নতুন ওয়াটার ট্রিটমেন্টে প্লান্টের পরিকাঠামো হঠাৎ ভেঙে পড়ায় হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে জল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গেঁওয়াখালী জল প্রকল্পের নতুন ওয়াটার ট্রিটমেন্টে প্লান্টের পরিকাঠামো হঠাৎ ভেঙে পড়ায় হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে জল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/vjo6-9EUfqYবুধবার ২৮ শে জুন গভীর রাতে ও…

 


গেঁওয়াখালী জল প্রকল্পের নতুন ওয়াটার ট্রিটমেন্টে প্লান্টের পরিকাঠামো হঠাৎ ভেঙে পড়ায় হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে জল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

https://youtu.be/vjo6-9EUfqY

বুধবার ২৮ শে জুন গভীর রাতে ওই প্লান্টের সেডিমেন্টেশন ট্যাঙ্কের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। জল পরিশোধনের বিশাল ট্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নতুন প্লান্ট থেকে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আপাতত পুরনো প্ল্যান্ট থেকে শিল্প সংস্থা ও পুর এলাকার বাসিন্দাদের জলের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। তবে শিল্প সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনের তুলনায় কম জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে জলের ঘাটতি মেটানো হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জল প্রকল্পের পরিচালন সংস্থা হলদিয়া ওয়াটার সার্ভিস। পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার ২৯ শে জুন বিকেলে বিভিন্ন শিল্প সংস্থা ও পুরসভাকে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকে এইচডিএ। বৈঠকে আইওসি, পেট্রকেম, এমসিপিআই সহ একাধিক বড় শিল্প সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন হলদিয়া ওয়াটার সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌরভ দাস পট্টনায়ক, প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিখিল মোহন্ত।

 জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ২.২০ মিনিট নাগাদ বিকট শব্দ করে নতুন প্লান্টের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান হলদিয়া ওয়াটার সার্ভিস এবং হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এইচডিএ) ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকররা। এইচডিএর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর বলেন, নতুন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ইনক্লাইন্ড প্লেট সেটলার সেডিমেন্টেশন ট্যাঙ্ক ভেঙে গিয়ে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। এর ফলে ওই প্লান্টে জলশোধন বন্ধ রয়েছে। এজন্য শিল্পাঞ্চলে জল সরবরাহে প্রভাব পড়েছে। পুরনো প্লান্টের জলশোধন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। পুরনো ও নতুন প্লান্ট মিলিয়ে প্রতিদিন ৩৮ মিলিয়ন গ্যালন (এমজিডি) জল সরবরাহ করা হয় হলদিয়ায়। নতুন প্লান্টে ১৪ এমজিডি জল শোধন করা হতো। পুরনো প্লান্টের উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ এমজিডি থেকে বাড়িয়ে ৩০ এমজিডি করলে ঘাটতি কিছুটা মিটবে। কিন্তু বাকি ৮ এমজিডি থেকে যাবে। এই বিষয়টি নিয়ে শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শিল্প সংস্থার প্রতিদিনের চাহিদার ৭০-৮০ শতাংশ মেটানো যাবে। 

হলদিয়া পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, পুর এলাকার মানুষ যাতে বিপদে না পড়েন সেজন্য ভূগর্ভস্থ জল বেশি করে তোলার কথা বলা হয়েছে। ইমারজেন্সি হওয়ায় প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার জায়গায় ১৮ ঘণ্টা পাম্প চালানো হবে। ২১ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জরুরি ভিত্তিতে ডিপ টিউবওয়েল বসানো হবে। সবাই যাতে এই পরিস্থিতিতে কম জল খরচ করেন সেজন্য মাইক আবেদন জানানো হচ্ছে। এইচডিএ জানিয়েছে, বিকল্প ব্যবস্থা করতে  ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিল্প সংস্থাগুলিও সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে। এনিয়ে দ্রুত টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে মাসখানেকের বেশি সময় লাগবে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। একটি বিদ্যুৎ সংস্থার আধিকারিক বলেন, জল সরবরাহ কম হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে। বিষয়টি বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানিয়েছি। 

No comments