মাধ্যমিকে দশম হয়েছে হলদিয়ার চৈতন্যপুর সংলগ্ন বাজিতপুর সারদামণি বলিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ন্যায়েশ্রী কালিন্দী। রাজ্যের ১১৮জনের মেধাতালিকায় ন্যায়েশ্রী হলদিয়া মহকুমার একমাত্র প্রতিনিধি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯০, …
মাধ্যমিকে দশম হয়েছে হলদিয়ার চৈতন্যপুর সংলগ্ন বাজিতপুর সারদামণি বলিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ন্যায়েশ্রী কালিন্দী। রাজ্যের ১১৮জনের মেধাতালিকায় ন্যায়েশ্রী হলদিয়া মহকুমার একমাত্র প্রতিনিধি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯০, অংকে ৯৯, পদার্থবিজ্ঞানে ১০০, জীবনবিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৭ এবং ভূগোলে ১০০ নম্বর পেয়েছে ন্যায়েশ্রী। ক্লাস ফাইভ থেকে অংক ও পদার্থবিজ্ঞান তার প্রিয় বিষয়। বড় হয়ে পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বাবা নারায়ণ কালিন্দী হলদিয়ার কুমোরপুর হাইমাদ্রাসার ইংরেজির শিক্ষক। পড়াশোনার ফাঁকে গোয়েন্দা গল্পের পোকা ন্যায়েশ্রী। হলদিয়ার দক্ষিণচকে তাদের বাড়ি হলেও পাড়াশোনার জন্য স্কুলের কাছে চৈতন্যপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকে। ভাল রেজাল্ট হবে আশা করেছিল। কিন্তু একেবারে প্রথম দশের তালিকায় নিজের নাম দেখব ভাবতেই পারিনি, প্রথম প্রতিক্রিয়া ন্যায়েশ্রীর। মাধ্যমিকে ন্যায়েশ্রীর দশম হওয়ার খবর পেয়ে এদিন তাদের ভাড়া বাড়িতে ভিড় লেগে যায়। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সুতাহাটা-হলদিয়া শাখার সদস্যরা বাড়িতে এসে তাকে শুভেচ্ছা জানায়। দুপুরে স্কুলে মার্কশিট নিতে গেলে সুতাহাটার বিডিও আসিফ আনসারি পরীক্ষার মার্কশিট সহ শংসাপত্র পত্র এবং মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা তার হাতে তুলে দেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাহাড়ি এদিন খবর পেয়েই আরও কয়েকজন শিক্ষিকাকে নিয়ে তার বাড়ি যান। ছাত্রীর এমন অভাবনীয় সাফল্যে আপ্লুত তিনি। তিনি বলেন, নিজের শ্রম, মেধা ও সাফল্য দিয়ে আমাদের স্কুলের গৌরব আরও বাড়িয়ে দিল ন্যায়েশ্রী। মেয়েটি নাচে, গানে যেমন তেমন পড়াশোনাতেও। মা ও বাবা পড়াশোনা নিয়ে সবসময় ওর সঙ্গে গল্প করেন। শুধু সারদামণি নয় ন্যায়েশ্রী হলদিয়ার পড়ুয়াদেরও আইকন হয়ে উঠল।
No comments