২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত(RBI withdrawing Rs 2000 notes)। বাজারে যে সমস্ত নোট রয়েছে তা তুলে নেওয়া হবে। জানিয়ে দিয়েছে আরবিআই (RBI)। যা নিয়ে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। টুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central G…
২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত(RBI withdrawing Rs 2000 notes)। বাজারে যে সমস্ত নোট রয়েছে তা তুলে নেওয়া হবে। জানিয়ে দিয়েছে আরবিআই (RBI)। যা নিয়ে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। টুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Goverment) খোঁচ দিতে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। টুইটে লিখলেন, “এটা কোনও ২০০০ টাকার ধামাকা ছিল না, আসলে কোটি কোটি ভারতীয়কে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। আমার ভাই-বোনেরা এবার জেগে উঠুন। নোট বাতিলের সময় যে কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল আমাদের তা ভোলার নয়। যাঁরা এই কষ্ট দিয়েছিল তাঁদের কোনওভাবেই ক্ষমা করা যাবে না।” মমতার পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফেও এ নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দেওয়া হয়েছে।
পাল্টা তোপ দেগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এটা অবশ্যই আপনার এবং আপনার দলের নেতাদের কাছে ধামাকা ছিল যাঁরা তাঁদের বান্ধবীর ফ্ল্যাটে টাকার পাহাড় করে রেখেছিলেন। সেই দুর্নীতি রুখতে হয়তো কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ডিমনিটাইজেশনের পর ২০১৬ সালের নভেম্বরে ২০০০ টাকার নোটটি চালু করা হয়েছিল দেশে। বাতিল হয়ে গিয়েছিল পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। তার জেরে বাজারে বড় নোটের বড় ঘাটতি দেখা দেয়। সেই ঘাটতি মেটাতেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো শুরু হয়। কিন্তু, বেশ কিছু মাস ধরেই বাজারে বিশেষ দেখা মিলছিল না ২০০০ টাকার নোটের। এ প্রসঙ্গে এদিন আরবিআই জানিয়েছে, ২০১৮-১৯ সালেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে বাজারে এই নোটের ব্যবহার এখন অনেকটাই কম।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত, বাজারে প্রচলিত ব্যাঙ্কনোটগুলির মধ্যে ২০০০ টাকার নোট রয়েছে মাত্র ১০.৮ শতাংশ। এবার পাকাপাকিভাবে এই নোট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাদের কাছে এই ২০০০ টাকার নোট রয়েছে সেগুলি ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে বা জমা করতে বলা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে।
No comments