Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কেলেঘাই নদীর চরে জবরদখল উচ্ছেদের দাবিতে কংগ্রেসের মিছিল

কেলেঘাই নদীর চরে জবরদখল উচ্ছেদের দাবিতে কংগ্রেসের মিছিল 
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানস করমহাপাত্রের নেতৃত্বে জেলা কংগ্রেসের দুই সাধারণ সম্পাদক শিউ মাইতি ও সঞ্জয় দাস, জেলা কিষাণ কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর বল্লভ, ব্লক সভাপত…

 






কেলেঘাই নদীর চরে জবরদখল উচ্ছেদের দাবিতে কংগ্রেসের মিছিল 


পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানস করমহাপাত্রের নেতৃত্বে জেলা কংগ্রেসের দুই সাধারণ সম্পাদক শিউ মাইতি ও সঞ্জয় দাস, জেলা কিষাণ কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর বল্লভ, ব্লক সভাপতিগন স্বপন মহান্তি, অসিত পাত্র, নুরুল ইসলাম, প্রসেনজিৎ জানা সহ অন‍্যান‍্য কংগ্রেস নেতৃত্বগন কেলেঘাই নদীর লাঙ্গলকাটা থেকে চাবকিয়া বাজার,  যে এলাকায়  নদীবক্ষ ও নদীর বকচর জবরদখল হয়ে আছে সেই এলাকা পরিদর্শন করেন।

মানসবাবু বলেন সামনে বর্ষাকাল, ২০০৮ ও ২০২১ সালের কেলেঘাইএর বাঁধভাঙা বন‍্যার ভয়াবহ স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে পটাশপুর ও ভগবানপুরের বন‍্যাপীড়িত মানুষ আজও শিউরে উঠছেন। নদী এখানে সুতি খালে পরিনত হয়েছে। মুলতঃ অবৈধ ইটভাটা আর মাছের ভেড়ী নদীখাত অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অতি বর্ষণের সময় স্বাভাবিক জলস্রোত বাধা পায়। শাসকদলের নেতা এবং প্রশাসনের প্রত‍্যক্ষ মদত ছাড়া এই  অবৈধ কারবার সম্ভব নয়।


    ইউপিএ সরকারের আমলে ২০১০ সালে  কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার কেলেঘাই কপালেশ্বরী প্রকল্পটির ৭৫ শতাংশ বরাদ্দের অনুমোদন দেয়। রাজ্য দেবে ২৫ শতাংশ টাকা৷ 

২০১২ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার প্রকল্পটির শিল্যানাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


প্রথম পর্যায়ে কেলেঘাই নদীর ঢেউভাঙা থেকে লাঙলকাটা পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে সংস্কারের কাজ হওয়ার কথা ছিল।

 নদী-সংস্কার প্রকল্পে কেলেঘাই নদীর ৬৩ কিলোমিটার, কপালেশ্বরীর ২১ কিলোমিটার, বাগুই নদীর ২৪ কিলোমিটার, চণ্ডীয়ার ২৪ কিলোমিটার ও দেউলি নদীর ৯ কিলোমিটার মিলিয়ে মোট ১৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশের সংস্কার-পরিকল্পনা। প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫০ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা।

কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার প্রকল্পে নদীর স্রোতে জমা পলি ও চর কেটে মাটি তোলার কাজ করার কথা। 


এ ছাড়া, প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত নদীগুলির সঙ্গে যুক্ত মোট ২০টি খালের প্রায় ৯০.৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশেও সংস্কারের পরিকল্পনা ছিল। বেশ কয়েকটি স্থানে নদী ও খালের উপর পাকা সেতু ও স্লুইস নির্মাণ বা সংস্কারের কাজও রয়েছে এই প্রকল্পের পরিকল্পনায়। 


তিন বছরের মধ্যে  কাজ শেষের লক্ষ্য নির্দিষ্ট ছিল।


২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরবর্তী কালে  ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর স্থির হয় যে, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়েই ৫০ শতাংশ খরচ বহন করবে৷ কেন্দ্রের ৩২৫ কোটি এবং   রাজ্য সরকারের ৩২৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা।

৬৫০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের জন্য সম্ভবত ৩৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে ১৭০ কোটি ২৭ লাখ টাকা৷

প্রকল্পটির কাজ এখন ন যযৌ ন তস্থৌ।

২০১২ সাল থেকে কিছুটা কাজ হওয়ার পর ২০২০ সাল পর্যন্ত নদীবাঁধ ভাঙেনি। পরে অবৈধভাবে মাটি পাচার,  কিছু এলাকায় মুলতঃ অবৈধ ইটভাটা আর মাছের ভেড়ী নদীখাত অবরুদ্ধ হওয়ার কারণে তালছিটকিনিতে বাঁধ ভেঙে পটাশপুর ও ভগবানপুরের সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হলেন। 

প্রধান নদীখাত তথা ছোটবড় সমস্ত খালগুলোতে প্রচুর পরিমানে পলি সঞ্চয় ঘটেছে। নদীখাতের প্রধানত অবৈধ ইঁটভাটা, মৎস্য ভেড়ী   কেলেঘাই নদীর   বন্যার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।

এখনো যদি  অবরোধ মুক্ত না করা হয় তবে  আবারও 

সবং, ময়না, পিংলা, ভগবানপুর, পটাশপুর, নারায়ণগড় ও খড়গপুর গ্রামীণ ব্লকের ৬২১ বর্গ কিলোমিটার  এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ আগামী দিনে বিপদে পড়বে।

No comments