Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্রেকিং!! তমলুকে গঙ্গা ঘাটের ব্রিজ ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু ১

তমলুকে গঙ্গা ঘাটের ব্রিজ ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু ১
তমলুকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড একটি ব্রিজ সারাইয়ের কাজ করার সময় হঠাৎই ব্রিজ ভেঙে চাপা পড়ে যায় দুজন। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে গেলেও এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি আরেক…

 



তমলুকে গঙ্গা ঘাটের ব্রিজ ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু ১


তমলুকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড একটি ব্রিজ সারাইয়ের কাজ করার সময় হঠাৎই ব্রিজ ভেঙে চাপা পড়ে যায় দুজন। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে গেলেও এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি আরেকজনকে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার করছে তমলুক থানার পুলিশ, ও দমকল বাহিনী।

তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডে গঙ্গাখালি কংক্রিটের ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ভগ্ন অবস্থায় ছিল। সেই ভগ্ন ব্রিজটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে কয়েক দিন আগে। কয়েকদিন ধরে  কাজ চলছিল। দুপুরে ১৭ ই মে বুধবার হঠাৎ সংস্কারের কাজের সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে যায়।কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক চাপা পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে তাদেরকে ভিতর থেকে বের করা হয়। এবং চিকিৎসার জন্য তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।  চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন শ্রমিক নাম শেখ শাহ আলম (৪০ বছর)  বাড়ি তমলুক মারা যান বলে জানিয়েছেন তমলুকের এস.ডি.পি.ও । ঘটনার খবর পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী ঘটনাস্থলে যান। খবর পেয়ে ছুটে যান হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাধন জানা। ছুঁটেযান পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি আজগর আলি পল্টু, পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি আজগর।


বুধবার তমলুক শহরে সংস্কারের কাজ চলার সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ব্রিজ। তাতে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম শেখ শাহ আলম (৪০)। তিনি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে ছিলেন। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন শেখ নাজিরুদ্দিন নামে আরও একজন।  এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তমলুক শহরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গঙ্গাখালি ব্রিজে ওই ঘটনা ঘটে। বেহাল ওই ব্রিজ ভাঙার কাজ চলছিল। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার পর পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, কাউন্সিলার চঞ্চল খাঁড়া প্রমুখ ঘটনাস্থলে যান। পুলিস ও দমকল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছুক্ষণ পর একজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। পাঁচ ঘণ্টা আটকে থাকার পর দ্বিতীয়জনকে ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে টেনে বের করা হয়। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ব্রিজ ভেঙে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশেপাশের এলাকা থেকে প্রচুর লোকজন জড়ো হন।

এদিন ঘটনার পর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) সৌভিক চট্টোপাধ্যায় ও মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান ঘটনাস্থলে যান। জেলাশাসক বলেন, ব্রিজটি ৩০থেকে ৪০বছরের পুরনো। পুরসভা একজন ঠিকাদারকে কাজের বরাত দিয়েছিল। তারা কাজ করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। কার গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা, সেটা আমরা খুঁজে বের করব। পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা মেরামতের পর ওই ব্রিজের কাজ করার জন্য ভাঙা হচ্ছিল। এদিন সকাল থেকে বেশ কয়েকজন শ্রমিক সেই কাজে লাগেন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ভাঙার কাজ চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ব্রিজটি খালের উপর ভেঙে পড়ে। তাতে দু’জন চাপা পড়ে যান। বাকিরা আতঙ্কে সেখান থেকে ছুটে পালান। খবর পেয়ে পুলিস ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে হাত লাগান। দ্বিতীয় ব্যক্তিকে উদ্ধার কাজে দেরি হওয়ায় অনেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন অফিসার মৃত্যুঞ্জয় হালদার এদিন তাঁর টিম নিয়ে এলাকায় যান। কিন্তু, উদ্ধার কাজে দেরি হওয়ায় বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। আস্ত ব্রিজ হুড়মুড়িয়ে খালে পড়ে। তারই নীচে চাপা পড়ে যান শেখ শাহ আলম। কিছুতেই সেই ব্রিজ সরিয়ে খাল থেকে তাঁকে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। পাঁচ ঘণ্টার অপেক্ষায় ধৈর্যচ্যুতি ঘটে এলাকাবাসীর। তোপের মুখে পড়তে হয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপন টিমকে।

No comments