Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শিল্প শহরে নিকাশি সংস্কারে এগিয়ে এল শিল্প সংস্থাগুলি

শিল্প শহরে নিকাশি সংস্কারে এগিয়ে এল শিল্প সংস্থাগুলি হলদিয়া বন্দর : বন্দর শহরে নিকাশি সংস্কারে এগিয়ে এল শিল্প সংস্থাগুলি। হলদিয়ার প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টার এলাকায় নিকাশির সুরাহা করতে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন একটি ড্রেনেজ ক্যানেল খন…


 



 শিল্প শহরে নিকাশি সংস্কারে এগিয়ে এল শিল্প সংস্থাগুলি

 হলদিয়া বন্দর : বন্দর শহরে নিকাশি সংস্কারে এগিয়ে এল শিল্প সংস্থাগুলি। হলদিয়ার প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টার এলাকায় নিকাশির সুরাহা করতে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন একটি ড্রেনেজ ক্যানেল খননের জন্য একাধিক শিল্প সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(এইচডিএ)। ওই ড্রেনেজ ক্যানেল খননের বাজেট প্রায় ২০-২২কোটি টাকা। প্রায় দেড় দশক ধরে ওই ক্যানেল খনন নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। আর্থিক অনটনের জন্য এইচডিএ ওই ক্যানেল খনন করতে সম্প্রতি সাহায্য চায় বিভিন্ন শিল্প সংস্থার। শেষমেস এইচডিএর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে তারা। রবিবার এবিষয়ে এইচডিএর সঙ্গে শিল্প সংস্থাগুলির চূড়ান্ত বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে এইচডিএর চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর, মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যুৎ দপ্তরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার এবং ১৮টি মাঝারি ও বড় শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরা। বর্ষার নামার আগেই ওই ক্যানেল খননের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। কিন্তু ওই এলাকায় বেদখল হওয়া জমিতে ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন অবরোধ সরিয়ে কীভাবে দ্রুত কাজ হবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে এইচডিএ ও পুর কর্তৃপক্ষ।

এইচডিএ ও পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিটিসেন্টার এলাকায় সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষায় জলমগ্ন হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র। পুরসভার ৪-৫টি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার বাসিন্দার পাশাপাশি বিপাকে পড়ে শিল্প সংস্থাগুলিও। গত বছর শিল্প বিষয়ক স্ট্যাডিং কমিটির ভিজিটের সময় ইমামি সহ একাধিক শিল্প সংস্থার আধিকারিকরা নিকাশি নিয়ে অভিযোগ করেন। বেশি বৃষ্টি হলেই জল উপচে ঢুকে পড়ে প্ল্যান এরিয়াতে এবং কোটি কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়, মেশিনারি বিকল হয়ে যায়। ফলে কারখানা সাটডাউন করে দিতে বাধ্য হন। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডল বলেন, সিটিসেন্টার থেকে এইচপিএল লিঙ্ক রোড বরাবর দু'পাশে নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। কয়েক বছর আগে এনিয়ে সমীক্ষা করা হয়। সেচ দপ্তর ওই সমীক্ষা করেছিল।এইচপিএল লিঙ্ক রোডের ডানদিকে অসংখ্য পাইপলাইন থাকায় ক্যানেল খননের পরিকল্পনা বাতিল হয়। একমাত্র সিটিসেন্টার থেকে এইচপিএল লিঙ্ক রোডের বামদিকে একটি নতুন ক্যানেল খনন করে নিকাশি সুরাহা করার চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে সে কাজ এতদিন করা সম্ভব হয়নি।

এইচডিএর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিটিসেন্টার থেকে আইওসি পেট্রনাস সংলগ্ন মনসাতলা খান পর্যন্ত ৩.১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নতুন ক্যানেল খনন করা হচ্ছে। ওই এলাকায় নয়ানজুলি রয়েছে। ৩.১ কিলোমিটারের মধ্যে ১.৭ কিলোমিটার অংশ  বিভিন্ন কারখানার প্রাচীরের পাশে রয়েছে। বাকি ১.৩ কিলোমিটার অংশ পুরসভার জমি। এরমধ্যে আবার ৫০০মিটার অংশ অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। ওই অংশে ১২-১৪টি ঝুপড়ি বাড়ি রয়েছে। কারখানাগুলির পাশে যে অংশ রয়েছে তারা সেখানে ক্যানেল খনন করবে। এইচডিএর চেয়ারম্যান বলেন, সিটিসেন্টার এলাকায় দীর্ঘদিনের নিকাশি সমস্যার সুরাহা করতে উদ্যোগ নিয়েছে এইচডিএ। তবে এত টাকা খরচের সামর্থ এই মুহূর্তে এইচডিএর নেই। সেজন্য শিল্পসংস্থাগুলিকে সাহায্য চেয়েছি। একসপ্তাহের মধ্যে তারা কে কোন এলাকায় কাজ করবে সেই পরিকল্পনা জানাবে। অবরুদ্ধ অংশ বাস্তবে তা কতটা সরানো যাবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান।

No comments