মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজখতিয়ে দেখতে স্ট্যান্ডিং কমিটি
হলদিয়া বন্দরঃ মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ খতিয়ে দেখতে এসে মূল ভবনের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করার উপর জোর দিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটি। সেই…
মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজখতিয়ে দেখতে স্ট্যান্ডিং কমিটি
হলদিয়া বন্দরঃ মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ খতিয়ে দেখতে এসে মূল ভবনের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করার উপর জোর দিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটি। সেই সঙ্গে নতুন কোর্সের অনুমোদন এবং অধ্যাপক ও কর্মী নিয়োগের বিষয়টির উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার মহিষাদল রাজ কলেজে হাজির হন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং প্রশাসনিক কর্তারা। সেখানে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। নির্মাণকাজের বতর্মান পরিস্থিতি জানতে দীর্ঘ আলোচনা হয় স্ট্যাণ্ডিং কমিটির প্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক ও কর্মীদের সঙ্গে।
প্রথমে ২০১৭ সালে পূর্ব মেদিনীপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে এই চেষ্টা চলছে।” বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের তরফে ছাড়পত্র পায়। এরপর প্রশাসনিক স্তরে সিদ্ধান্তের বদল ঘটিয়ে ২০১৮ সালে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় নামে সিলমোহর দেওয়া হয়। হলদিয়া কোলাঘাট ১১৬ জাতীয় সড়কের পাশে মহিষাদলের কাপাসএড়া লাগোয়া বামুনিয়া মৌজায় ২০ একর জায়গায় নির্মীয়মাণ এই বিশ্ববিদ্যালয়। এখন সীমানা প্রাচীর এবং গেট তৈরির কাজের পাশাপাশি ভিতের কাজ হয়েছে। কিন্তু অর্থের অভাবে থমকে রয়েছে কাজ। এদিন আলোচনা শেষে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মণ্ডল জানান, “মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গতিবিধি জানলাম। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ জরুরী। সেজন্য সরকারের কাছে অর্থ বরাদ্দের কথা জানাব। সেই সঙ্গে নতুন চারটি কোর্স অনুমোদন, অধ্যাপক এবং কর্মী নিয়োগের বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট দফতরে তুলে ধরব। তবে প্রাথমিক পর্বে পঠনপাঠনের কাজ দেখে আমরা খুশি। বাকি কাজ যাতে দ্রুত হয় সেজন্য
বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকার ১৭৬ এবং কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। ২৫ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত ১১ কোটি টাকার বিল মেটানোহলেও বাকি টাকা সরবরাহ করা হয়নি। ফলে কাজ থমকে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চন্দ্ৰদীপা ঘোষ জানান, “রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী অর্থের পাশাপাশি বাকি কাজের জন্য সরকারের কাছ থেকে শীঘ্রই সহযোগিতা পাব।”এদিন মহিষাদল রাজ কলেজের কাজের সভাপতি তথা মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তীর বক্তব্যেও এমন আশার কথা শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, “মহিষাদল রাজ কলেজের অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে আমরা সহযোগিতা করতে পেরেছি। তবে আমরা আশাবাদী রাজ্য সরকার মহাত্মাগান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজেও সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে।” স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা এদিন মহিষাদলে একতারপুরে গান্ধী কূটীর নির্মীয়মান বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গাটি ঘুরে দেখেন। বাকি কাজের উদ্দেশ্যে বিধানসভায় দ্রুত রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
No comments