Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন হলদিয়ায় মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী ন্যায়শ্রী কালিন্দীর বাবা নারায়ণ কালিন্দী

প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন হলদিয়ায় মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী ন্যায়শ্রী কালিন্দীর বাবা নারায়ণ কালিন্দী
 হলদিয়া বন্দরঃ সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন হলদিয়ায় মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী ন্যায়শ্র…

 



প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন হলদিয়ায় মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী ন্যায়শ্রী কালিন্দীর বাবা নারায়ণ কালিন্দী


 হলদিয়া বন্দরঃ সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন হলদিয়ায় মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী ন্যায়শ্রী কালিন্দীর বাবা নারায়ণ কালিন্দী। তিনি বর্তমানে সুতাহাটার চৈতন্যপুর সংলগ্ন বাজিতপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নাম করে  সাইবার প্রতারকরা ১লক্ষ ৩২হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একসঙ্গে এত টাকা খুইয়ে কার্যত সর্বস্বাস্ত হয়ে গিয়েছেন কৃতী ছাত্রীর পরিবার। তাই মেয়ের এতবড় সাফল্যের মধ্যেও খানিকটা মনমরা হয়ে পড়েছেন নারায়ণবাবু। একটি অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে জীবমবিমার প্রিমিয়াম জমা করতে গিয়েই বিপত্তির সূত্রপাত। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণবাবু ট্রেড ওয়ালেট অ্যাপের মাধ্যমে ৯হাজার টাকা জীবনবিমার প্রিমিয়াম জমা দেন। কিন্তু জীবনবিমার টাকা জমা পড়েনি বলে ৪মে 'ফেলড' মেসেজ পান তিনি। এরপর জীবনবিমা অফিস ও স্টেট ব্যাঙ্কে বারবার যোগাযোগ করেন করেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় তিনি কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেন। নারায়ণবাবু হলদিয়া ব্লকের কুমোরপুর হাইমাদ্রাসার ইংরেজির শিক্ষক। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই অ্যাপের মাধ্যমে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিচ্ছি। কিন্তু কখনও এভাবে ঝামেলায় পড়িনি। শেষমেস গুগল সার্চ করে এসবিআইয়ের কাস্টমার কেয়ারের নম্বর জোগাড় করি। সেই নম্বরে ফোন করার পর তারা হিন্দিতে জানায়, অভিযোগের জন্য অনলাইনে ২টাকা পাঠিয়ে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। নারায়ণবাবুর অভিযোগ, ওই সময় সাইবার প্রতারকরা তাঁর মোবাইল হ্যাক করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও এটিএম কার্ডের নম্বর হাতিয়ে নেয়। কারণ, তিনি ওই কার্ডের ছবি মোবাইলে তুলে রেখেছিলেন। তাঁর স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ৫৪হাজার টাকা এবং পরে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে পাঁচ দফায় ৬৯ হাজার ৫১৫টাকা মিলিয়ে মোট ১লক্ষ ২৩হাজার ৫১৫টাকা হাওয়া হয়ে যায়। এছাড়া প্রিমিয়ামের ৯হাজার টাকারও হদিশ মেলেনি। মেসেজে এই খবর জানার পরই কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর মাথায়।

 কষ্টার্জিত টাকা খুইয়ে জয়ের আনন্দ খানিকটা মাটি হয়েছে। ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ায় পরিবারের এতবড় আনন্দের দিনে নারায়ণবাবুকে রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। কারণ ওই ফোনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। তিনি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিস যাতে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে সেই আবেদন করেন নারায়ণবাবু। এদিকে, ওই বাজিতপুর এলাকাতেই অশোক মান্না নামে এক ব্যক্তিও সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ৪০হাজার টাকা খুইয়েছেন একইসময়ে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে ফোন করে ক্রেডিট কার্ড অ্যাকটিভ করার জন্য ওটিপি জানতে চান। ওটিপি জানার পরই কয়েক দফায় অশোকবাবুর স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০হাজার টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ।

No comments