লক্ষ্মণ শেঠ বিয়ে করলেন
সাত বছর একাকিত্ব জীবন কাটানোর পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের একদা সম্রাট প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠজীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন তিনি নতুন বৌএর সঙ্গে তার ছবি ভাইরাল সামাজিক মাধ্…
লক্ষ্মণ শেঠ বিয়ে করলেন
সাত বছর একাকিত্ব জীবন কাটানোর পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করলেন হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের একদা সম্রাট প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ
জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন তিনি নতুন বৌএর সঙ্গে তার ছবি ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। তবে স্ত্রীর পরিচয় এখনো প্রকাশ্যে আনেনি লক্ষ্মণ বর্তমানে হাত শিবিরে থাকা এই নেতা জানিয়েছেন কিছুদিন পরেই নিজের এলাকায় বড় করে বৌভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন । সেই দিন স্ত্রীর পরিচয় সবাইকে জানাবেন। বর্তমানে লক্ষ্মণ শেঠের বয়স ৭৭ বছর এই বয়সে বিয়ে করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই কটাক্ষ করেছেন তাকে। তবে অনেকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন সে বিষয়ে লক্ষ্মণ বললেন আমি বিয়ে করেছি নিজের ইচ্ছায় করেছি তবে এখনো রিসেপশনের তারিখ ঠিক করিনি। পরে সব জানাবো । তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনবার সংসদ হয়েছিলেন লক্ষ্মণ ২০০৯ সালে যখন বাম দূর্গ ভাঙ্গন শুরু, সেই সময় লোকসভা ভোটে এই প্রাক্তন সিপিএম সাংসদকে হারিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এরপর ২০১৪ সালে লক্ষ্মণ শেঠ কে বহিষ্কার করে সিপিএম। এরপর নিজেই একটি দল গঠন (ভারত নির্মাণ মঞ্চ)করেন যদিও সেই দল ছেড়ে লক্ষ্মণ বিজেপিতে যোগ দেন ২০১৮ সালে । গেরুয়া শিবির তাকে বহিষ্কার করে দেয় শেষে ২০১৯ সালে কংগ্রেসের যোগ দেন তিনি এখন সে দলেরই রয়েছেন। ১৯৭৯ সালে লক্ষ্মণ শেঠ বিয়ে করেছিলেন তমালিকা পান্ডাকে। এরপর থেকে প্রায় সর্বক্ষণ স্বামীর পাশাপাশি থাকতেন তমালিকা। একসঙ্গে বাম রাজনীতিও করেছেন। লক্ষ্মণের সুখ-দুঃখের সঙ্গী ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে স্বামীকে সিপিএম বহিষ্কার করে তখন দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তমালিকাও । তমালিকা পন্ডা শেঠ ছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুর সিপিএমের সুকুমার সেনগুপ্ত তমালিকা কন্যা। যার নামে এখন নিমতৌড়িতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সিপিএমের দপ্তর। তমালিকা এবং লক্ষ্মণ থাকতেন হলদিয়া রানীচক শ্রমিক ভবনে। পরে ক্ষুদিরামনগরে সিপিআইএম জোনাল পার্টি অফিসে থাকতেন। ক্ষুদিরামনগরের সিপিআইএম দলীয় পার্টি অফিসের নাম সুকুমার সেনগুপ্ত ছিল। প্রত্যেকটি ইট বালি চিপস প্রতিটি কনায় কনায় রয়েছে শ্রমিকের রক্ত ঘাম ঝরানো পয়সায় দিয়ে তৈরি হয়েছিল সুকুমার সেনগুপ্ত ভবন হলদিয়া সিপিআইএম জোনাল অফিস। ওই ভবনের জন্য জায়গা দান করেছিলেন এক ব্যক্তি পাটিকে । সেই সময় কালে জোনাল কমিটি নেতৃত্বদের নামে ওই পার্টি অফিস টাস্টি বোর্ড গঠন করে ছিল। পরে যারা ট্রাস্টির মধ্যে ছিলেন তাদের কাছ থেকে ইংরেজিতে দলিল লিখে তাদের কাছ থেকে লিখে রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয় তমালিকা পন্ডা শেঠের নামেই। বর্তমানে সুকুমার সেনগুপ্ত ভবন নাম পাল্টে মহাত্মা গান্ধী ভবন করা হয়েছে জায়গাটি তমালিকা পন্ডা শেঠের নামেই রয়ে গেছে।
জোনাল অফিসে থাকতেন তবে তাদের সেই ফ্লোর দেখলে বোঝার উপায় ছিল না সেটা এক কমিউনিস্ট পার্টির অফিস নাকি রাজপ্রাসাদ। তবে ২০১১ সালে বাম সরকার পতনের পর হলদিয়া পৌরসভা নির্বাচনে জিতেছিল বামেরা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তমালিকা। তবে দুজনের একসঙ্গে পথ চলা শেষ হয় ২০১৬ সালে । শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা মৃত্যু হয় তমালিকার। তার মৃত্যুর পরেই হলদিয়া ডেন্টাল কলেজ নিয়ে সিআইডি তদন্ত লক্ষ্মণের গ্রেপ্তার এবং পার্টি থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য প্রথম পক্ষের দুই ছেলেও রয়েছেন এবার সেই পরিবারের নতুন সদস্য নিয়ে এলেন কলিকাতা ফুল বাগানের বাসিন্দা মানসী দে কে । বর্তমানে হাত শিবিরের নেতা লক্ষণ শেঠ।
No comments