সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিরল সূর্য গ্রহণ
এবার বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকতে চলেছে পৃথিবী। আগামীকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার সূর্যকে গ্রাস করবে চাঁদ। সাধারণ সূর্যগ্রহণের মতোই এক্ষেত্রে চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় চলে আসে। কিন্তু এই বিরল গ্…
সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিরল সূর্য গ্রহণ
এবার বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকতে চলেছে পৃথিবী। আগামীকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার সূর্যকে গ্রাস করবে চাঁদ। সাধারণ সূর্যগ্রহণের মতোই এক্ষেত্রে চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় চলে আসে। কিন্তু এই বিরল গ্রহণে সূর্যের মাঝখানে আসে চাঁদ, যার ফলে আকাশে দেখা যায় একটি অগ্নিবলয়। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই গ্রহণের নাম দিয়েছেন ‘হাইব্রিড’। তবে কলকাতাসহ দেশের মানুষের জন্য খারাপ খবর রয়েছে। এখানকার আকাশে ওই বিরল গ্রহণদৃশ্য দেখা যাবে না।
মহাকাশ বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলছিলেন, ‘এটা মূলত প্রশান্ত মহাসাগর, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের কিছু অংশ, ইস্ট টিমোর আইল্যান্ড থেকে দেখা যাবে। এছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ থেকে আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে।’ তবে সূর্যের একেবারে মাঝখানে চাঁদ থাকবে ১ মিনিটেরও কম সময়, এমনটাই জানিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। গ্রহণ শুরু হবে ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ। প্রশ্ন হচ্ছে, কত বছর অন্তর দেখা যায় এই হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ? দেবীপ্রসাদবাবু বলছেন, ‘নির্দিষ্টভাবে বলা যায় না যে, ৫ কিংবা ৬ বছর অন্তর দেখা যায়। তবে এই গ্রহণ বিরল। বিভিন্ন জায়গাতেই বিভিন্ন সময় হয়ে থাকে। হয়তো সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে কোনও একসময় হয়েছে, তাই সমতল থেকে দেখা যায়নি।’ সাধারণত সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রে আকাশে হিরের আংটি দেখা যায়। এক্ষেত্রে এমন অগ্নিবলয়ের সৃষ্টি হয় কেন? দেবীপ্রসাদবাবুর ব্যাখ্যায়, ‘সেইসময় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব একটু বেশি থাকার ফলে আকাশে ওই রকম অগ্নিবলয় দেখা যায়। তাকে অ্যানিউলার একলিপস বলা হয়।’
No comments