বন্দরের ছাড়পত্র নেই, থমকে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প ছাড়পত্র দেননি বন্দর কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, শিল্প শহরে তাই বিশ বাঁও জলে 'সৌর শক্তি উদ্যান'।পুরসভা সূত্রে খবর, 2022 সালে হলদি নদীর পাড়ে 'সোলার এনার্জি পার্ক' গড়তে হলদিয়…
বন্দরের ছাড়পত্র নেই, থমকে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প
ছাড়পত্র দেননি বন্দর কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, শিল্প শহরে তাই বিশ বাঁও জলে 'সৌর শক্তি উদ্যান'।
পুরসভা সূত্রে খবর, 2022 সালে হলদি নদীর পাড়ে 'সোলার এনার্জি পার্ক' গড়তে হলদিয়া পুরসভা উদ্যোগী হয়।তাতে আর্থিক রিফাইনারি কর্তৃপক্ষ। তবে দাবি, বন্দরের তরফে ছাড়পাত্র (এনওসি) না পাওয়ায় থমকে গিয়েছে ওই প্রকল্প।
২০১৯ সালে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ হলদি নদী সংলগ্ন ২০ হাজার ৩৫৭.২০ বর্গমিটার এলাকা পুরসভাকে সৌন্দর্যায়নের জন্য দেয়। বন্দর শর্ত দেয় যে, পুরসভা ওই এলাকায় বাণিজ্যিক ক্রিয়াকলাপ করতে পারবে না। আর কোনও নির্মাণ করতে হলে তাদের থেকে ‘এনওসি’ শংসাপত্র নিতে হবে। শর্ত লঙ্ঘিত হলে দিনের মধ্যে জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেই মতো ‘সোলার এনার্জি পার্ক' করতে পুরসভা বন্দরের কাছে ‘এনওসি' শংসাপত্রের আবেদন করে। বন্দরের তরফে প্রকল্পের সাইট প্ল্যান চেয়ে পাঠানো হয়।
গত ২৮ ডিসেম্বর সাইট প্ল্যান-সহ বন্দরকে তার চিঠির উত্তর দেয় হলদিয়া পুরসভা। অভিযোগ, এর পরে বন্দরের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। ফলে থমকে প্রকল্প। হলদিয়ার পুর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বন্দরের তরফে যা চাওয়া হয়েছিল সব কিছুই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও মেলেনি শংসাপত্র। বন্দরের অসহযোগিতার ফলেই ‘সোলার এনার্জি পার্ক' প্রকল্পটি থমকে গিয়েছে।” পুরসভার দাবি, ওই এনার্জি পার্কে 'ওপেন জিম' থাকবে। নানা রকম প্রদর্শনী থাকবে। প্রকল্পের জন্য প্রায় ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। পুরসবার অভিযোগ প্রসঙ্গে হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার প্রবীণকুমার দাস বলেন আমরা খতিয়ে দেখবো। আমরা উনাদের জায়গা দিয়ে দিয়েছি। উনারা কিছুই করছেই না। যদি কোন অসুবিধা থাকে নিশ্চয়ই আমরা খতিয়ে দেখব।
No comments