শিল্প শহরে বেসরকারি সংস্থা তে শ্রমিক নিয়োগে পদ্ধতিগত ত্রুটির অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে প্যানেল বাতিলের নির্দেশ জেলা প্রশাসনের।স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্রম বিভাগের তরফে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে বেসরকারি সংস্থা তে শ্রমিক নিয়োগ সরকারি প…
শিল্প শহরে বেসরকারি সংস্থা তে শ্রমিক নিয়োগে পদ্ধতিগত ত্রুটির অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে প্যানেল বাতিলের নির্দেশ জেলা প্রশাসনের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্রম বিভাগের তরফে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে বেসরকারি সংস্থা তে শ্রমিক নিয়োগ সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে নিয়োগের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। হলদিয়ার এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অধীনে এক ঠিকাদার সংস্থা তে প্রায় ২২ জন শ্রমিক নেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় এপ্রিল মাসে । ২২ জন ওই ঠিকাদার সংস্থা তে কাজে যোগ দেয়। এই নিয়োগ নিয়েই জেলা প্রশাসনের কাছে পদ্ধতিগত অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়ে।
কর্মীদের একাংশের অভিযোগ সরকার স্বীকৃত পদ্ধতি না মেনে অন্য পথে নিয়োগ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরো ও অভিযোগ এই নিয়োগে ঠিকাদার ও স্থানীয় নেতৃত্বের যোগসাজেসের মাধ্যমে মোটা টাকা লেনদেন হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তরফে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা শাসকের নির্দেশক্রমে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আধিকারিকরা ওই ঠিকাদার সংস্থার ২২ জনের নিয়োগের প্যানেল বাতিল ঘোষণা করে। বৃহস্পতিবার২৮ শে এপ্রিল সকালে ওই ঠিকাদার সংস্থার নতুন যোগদানকারী কর্মীদের গেট পাশ নিয়ে নেওয়া হয় শিল্প নিরাপত্তা রক্ষ্মী বাহিনীর তরফে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জরুরী ভিত্তিতে হলদিয়ার এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক বসেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়, ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টর দেবায়ন দে, হলদিয়া রিফাইনারির সিজিএম দেবাশীষ দত্ত , হলদিয়া এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অফিসার এবং হলদিয়ার ডেপুটি লেবার কমিশনার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সংস্থা তে নিয়োগ সঠিক রূপে হচ্ছে কিনা তার জন্য বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষক মনোনীত করা হয়েছে। এই পর্যবেক্ষকরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের তরফে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তরফে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার আধিকারিক বলেন, ' জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে ২২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। তাদের গেট পাশ ফেরত নেওয়া হয়েছে।"
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি বলেন," অভিযোগ পাওয়ার পরে প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে একটি তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করা হবে।"
ঠিকাদার সংস্থা মালিক কে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোন বন্ধ আছে বলা হয়।
নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ উঠতেই কটাক্ষ করলেন বিএমএস রাজ্য সহ-সভাপতি প্রদীপ বিজলী তিনি বলেন রাজ্য সরকার নবান্ন থেকে জেলাশাসককে মাথায় রেখে যে কমিটি গঠন করেছিল । সেখানে ও দুর্নীতি ।রাজ্য সরকার তাদের ইউনিয়নের নেতৃত্বদের উপর ভরসা না রেখেই কমিটি গঠন করেছিল। এখন সর্ষের মধ্যেও ভুত? এখন সরকারি নিয়োগ পদ্ধতিতেও অনিয়ম?
No comments