Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কুকড়াহাটি চৈতন্যপুর রাস্তা দুধারে হকার উচ্ছেদে নাববে প্রশাসন

কুকড়াহাটি চৈতন্যপুর রাস্তা দুধারে হকার উচ্ছেদে নাববে প্রশাসনহলদিয়ায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, রাস্তা থেকে বেআইনি দখল হঠাতে উদ্যোগী পুলিস?বন্দর শহরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও জখমের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মূলত রাতের দিকে ব…

 


 কুকড়াহাটি চৈতন্যপুর রাস্তা দুধারে হকার উচ্ছেদে নাববে প্রশাসন

হলদিয়ায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, রাস্তা থেকে বেআইনি দখল হঠাতে উদ্যোগী পুলিস?

বন্দর শহরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও জখমের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মূলত রাতের দিকে বেপরোয়া ট্রাক, ট্যাঙ্কার ও ডাম্পারের ধাক্কাতেই বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে। কারখানার ডিউটি সেরে সাইকেলে বা বাইকে ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন শ্রমিক, কর্মচারীরা। কেউ কেউ আবার স্পিড বাইকিং করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন। শহরের জনবহুল মোড় এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় পড়ছেন পথচারীরা। বেপরোয়া যান চলাচলে রাশ টেনেও দুর্ঘটনার গ্রাফ নিম্নমুখী না হওয়ায় উদ্বিগ্ন পুলিস ও প্রশাসন। ১১৬ নম্বর হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়ক ছয় লেনের হলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা ট্রাফিক পুলিসের। প্রসঙ্গত, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচে হলদিয়া - মেচেদা জাতীয় সড়ক ছয় লেনের করার কাজ শুরু হয়েছে। শুধু বেপরোয়া যানবাহন নয়, পুলিস ও প্রশাসনের মাথাব্যথার বড় কারণ হলদিয়াজুড়ে রাস্তার উপর ইমারতি দ্রব্যের রমরমা ব্যবসা ও সম্প্রসারিত দোকানপাট। এজন্য শহরজুড়ে অভিযান চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে পুলিস।

অন্যদিকে, ট্রাফিক পুলিস নিজেই শহরের সবচেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা ব্রজলালচক ও সিটি সেন্টারে

এপ্রিল হলদিয়ার বসানচকের বাসিন্দা কার্তিক সামন্ত গভীর রাতে ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার সময় গাড়ির ওই সময় রানিচকগামী একটি ডাম্পার তাঁকে ধাক্কা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গত ১১ এপ্রিল ব্রজলালচক-চৈতন্যপুর রোডে যাত্রীবোঝাই একটি অটো রিকশাকে বেপরোয়াভাবে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। ৪-৫ জন যাত্রী গুরুতর জখম হন। ঈদের দিন রাত ১০টা নাগাদ সিটি সেন্টারে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ডিঘাসিপুরের বছর পঁচিশের এক যুবক। ওউ যুবক বর্তমানে মাথায় আঘাত নিয়ে কালকাতার নামী হাসপাতালে ভর্তি। ওই একই দিনে ব্রজলালচকে মোড়ের মাথায় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন আরও এক যুবক। প্রায় প্রতিদিনই সিটি সেন্টার থেকে ব্রজলালচক ও এইচপিএল লিঙ্ক রোড, দু'টি রাস্তায় ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। জেলা ট্রাফিক পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মধ্যে হলদিয়ায় দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে বেশি। গত চার মাসে হলদিয়ায় ২০টির বেশি

জাতীয় সড়কের উপর ফুট ওভারব্রিজ তৈরির প্রস্তাব দুর্ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঠিয়েছে রাজ্যে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ নথিভুক্ত হয়নি এমন দুর্ঘটনার সংখ্যার এর দ্বিগুণ।

ব্রজলালচক এলাকার বাসিন্দারা বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর ব্রজলালচক মোড়ে এক শিক্ষিকার মৃত্যুর পর ধাক্কায় মারা যান। তিনি ডিউটি সেরে ভাবানীপুর পাঁচ মাস কেটে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি। ওইসময় থানার সিটি সেন্টারের কাছে দোকানে চা খাচ্ছিলেন। মাত্র ৯ দিনে ওই এলাকায় ৫ জনের মৃত্যু হয়। তারপরও ব্রজলালচকে জাতীয় সড়কের উপর থেকে দোকানপাট মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হলদিয়া মহকুমা সরানো হয়নি। বাজার কমিটির এক কর্মকর্তা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অলোকরঞ্জন দাস বলেন, জনস্বার্থে ব্রজলালচকে রাস্তার উপর থেকে দোকানপাট সরানো দরকার। পুলিস, মহকুমা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে বার বার চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি। হলদিয়ার মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ব্রজলালচক বাজার কমিটি চিঠি দিয়েছে। ওই এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমীক্ষা করা হবে। এজন্য বাজার কমিটিকে নিয়ে মিটিংয়ে করছি। জেলা ট্রাফিক পুলিসের ডিএসপি পবিত্র বারিক বলেন, হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে দুর্ঘটনা কমাতে পুলিস তৎপর। হলদিয়ার ট্রাফিক পুলিসের ওসি সুরজিৎ চক্রবর্তী ব্রজলালচক ও সিটি সেন্টারে দু'টি ফুট ওভারব্রিজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কীভাবে এটি কার্যকর করা হবে তা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। আগামী সপ্তাহে হলদিয়াজুড়ে বেআইনি দখল সরাতে অভিযানে নামছে পুলিস।

No comments