গানে গানে রবীন্দ্রনাথ- মনোজিৎ দাস
" কাঁদালে তুমি মোরে ভালোবাসারই ঘায়েনিবিড় বেদনাতে পুলক লাগে গায়ে .........ভালোবাসায় কাঁদিয়ে পুড়িয়েছো , আবার এই ভালোবাসায় ' পুলক ' লেগেছে মনে - প্রাণে। এই হলেন আমাদের রবি…
গানে গানে রবীন্দ্রনাথ- মনোজিৎ দাস
" কাঁদালে তুমি মোরে ভালোবাসারই ঘায়ে
নিবিড় বেদনাতে পুলক লাগে গায়ে .........
ভালোবাসায় কাঁদিয়ে পুড়িয়েছো , আবার এই ভালোবাসায় ' পুলক ' লেগেছে মনে - প্রাণে।
এই হলেন আমাদের রবিঠাকুর।প্রেম পর্যায়ের গান। বিচিত্র অনুভূতি, বিশাল তার গভীরতা।
বিশিষ্ঠ রবীন্দ্র গবেষক লিখেছেন,' মানুষ একদিনে কবি হতে পারে,কিন্তু একদিনে ধার্মিক হতে পারেন না। নৈবেদ্য, খেয়া, গীতাঞ্জলি এই তিনখানি কাব্য একত্রে পাঠ করলে চিন্তাশীল ব্যাক্তি মাত্রেই একটি স্পষ্ট ধারাবাহিকতা ও কবি জীবনের আধ্যাত্মিকতার ক্রমবিকাশ বেশ স্পষ্ট করতে পারবেন।'
" কি নিরখি আজি, একি অফুরান লীলা,
একি নবীনতা বহে অন্ত:শীলা।
কবির আত্মা একটি কুমারী হৃদয় ! অনাঘ্রাত পুষ্পের সৌরভের মত স্বর্গীয় প্রেমে ভরপুর।
"তোমার অভিসারে যাব
অগম পারে -
চলিতে পথে পথে বাজুক ব্যাথা পায়ে " - ' অগম' পারে অর্থাৎ যেখানে গেলে মানুষ কোনোদিন ফিরে আসে না। প্রেমের অভিসারে,ঠিক যেন শ্রীরাধিকার মতন প্রেমের অভিসারে যাচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণের
সাথে দেখা করতে অনেক ঝঞ্ঝা পেরিয়ে।আর সেই চলার পথে হাঁটতে গিয়ে ব্যাথা অনুভূত হোক কবির।
এই অনুভূতি হলো দিব্যদর্শন।
এই দিব্যদর্শনকে বলা হয় জীবনের critical stage of Earth nature।
শেষের দুই লাইনে কবি লিখেছেন - " সকলই নিবে কেড়ে,দিবে না তবু ছেড়ে ... ফেলিলে একি দায়ে ।। "
তুমি আমার কাছ থেকে সব কেড়ে নেবে আবার আমায় তুমি ছেড়ে দেবে না।
সমর্পণেই জীবন মহাকাশে তার কাছে আনন্দের কারণ , ' আমার যে সব দিতে হবে,সে তো আমি জানি '।
একবার আত্ম রূপ দর্শন করলে মানুষকে আর অন্য রূপ দর্শন করতে হবে না।
সমর্পণের সাধনাই জীবন সাধনা।প্রেমের সুর আনন্দের সুর।
" ওগো কাঙাল,আমারে কাঙাল করেছ,
আরো কি তোমার চাই .....
হায় আরো যদি চাও মোরে কিছু দাও,ফিরে আমি দিব তাই " ।
No comments