খুনের মামলায় চারজনের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতসুতাহাটা থানার অন্তর্গত গুয়াবেরিয়া অঞ্চল তাজপুর গ্রামে খুনের অভিযোগে ধৃত ৩ হয়ে ছিল। চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিছুদিন আগেই এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। …
খুনের মামলায় চারজনের সাত দিনের পুলিশ হেফাজত
সুতাহাটা থানার অন্তর্গত গুয়াবেরিয়া অঞ্চল তাজপুর গ্রামে খুনের অভিযোগে ধৃত ৩ হয়ে ছিল। চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
কিছুদিন আগেই এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। নাম সেখ মোমেন খুনের মামলাতে অভিযুক্ত তিন জনকে সুতাহাটা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, ধৃতদের নাম শেখ ফারুক ওরফে ভোলা, ইসমাইল খান এবং শাহরুখ খান ওরফে ইসরার খান। তিনজনকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তার সাথে গত রাতে একজনকে কুকড়াহাটি থেকে গ্রেফতার করে খুনের মামলায় নাম সেখ নবির আলিকে আদালতে তোলা হলে মোট চারজনকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার সুতাহাটা হোড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুরে তালাবদ্ধ ঘরের ভিতর থেকে এক কিশোরের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে নাম সেখ মোমেন। ঘটনাস্থলে তদন্তে যান হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, তাকে খুন করা হয়েছে। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, দিল্লিতে থাকাকালীন ওই কিশোরের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। তা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তার জেরেই খুন হতে পারে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোর পরিবারের সঙ্গে দিল্লিতে থাকত। দিন পনেরো আগে সে সুতাহাটায় বাড়ি ফিরে আসে। সুতাহাটায় তাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তার মাসির বাড়ি। দিল্লি থেকে সুতাহাটায় ফিরে সে মাঝেমধ্যে মাসির বাড়িতে খেতে যেত। পুলিস জানতে পেরেছে, দিন দু'য়েক সেমাসির বাড়ি যায়নি। কিশোরের মা দিল্লি থেকে সুতাহাটায় ফেরেন। প্রথমে তিনি বোনের বাড়িতে যান। সেখানে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে নিজের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, ঘরের ভিতর থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। এলাকার লোকজনকে ডেকে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন, খাটের তলায় কাপড়ে মোড়া রয়েছে ছেলের মৃতদেহ। তা দেখে চমকে যান কিশোরের মা ও প্রতিবেশীরা।পুলিসের অনুমান, কিশোরকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কারা এবং কেন তাকে খুন করল, সেটা পুলিসের কাছে পরিষ্কার নয়। তবে দিল্লিতে মোবাইল চুরির ঘটনাটি পুলিস গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। পুলিস জানতে পেরেছে, কিশোরের মোবাইল চুরির ঘটনায় দাবি জানাচ্ছি।
যারা যুক্ত ছিল তাদের বাড়িও সুতাহাটায়। তারাও কয়েকদিন আগে দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরেছে। খুনের পিছনে মোবাইল চুরি, নাকি অন্য কোনও বিষয় আছে, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
অন্যদিকে, তাজপুরের অদূরে গুয়াবেড়িয়া গ্রামে বুধবার মাঝরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ার গলায় ছুরি চালিয়ে খুনের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে একটি হুমকি চিরকুট পাওয়া গিয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির পড়ুয়ার গলায় দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। স্থানীয় প্রধান সাবির আলি বলেন, জখম পড়ুয়াকে রাতেই হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার গলায় চারটি স্টিচ পড়েছে। আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করে দোষীদের শাস্তির
No comments